বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: সামনে বাংলা নববর্ষ। চলছে চৈত্র সেল। কিন্তু ভোটের আবহে বাজার জমছে না কিছুতে। হংকং মার্কেট তো বটেই, বিক্রি নেই ফুটপাতেও। ওই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ী মহল।
প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের অন্তত তিন-চার সপ্তাহ আগে থেকে শিলিগুড়ি শহরের হিলকার্ট রোডের ফুটপাত ধরে এগনো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাহাড়-সমতলের ক্রেতাদের থিকথিকে ভিড়ে ঠাসা থাকে বিধান মার্কেট, হংকং মার্কেট, সেভক রোড, কোর্ট মোড়, হকার্স কর্নার, মহাবীর স্থান। এবার গড়ের মাঠ। অথচ নববর্ষের পাশাপাশি ছিল ইদও। কিন্তু বাজারে ক্রেতা নেই।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরে চড়চড়িয়ে বাড়বে গরম, পয়লা বৈশাখের আনন্দ মাটি করবে বৃষ্টি?]
চৈত্রে সেলে ফাঁকা বাজার। নিজস্ব চিত্র।
হংকং মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী সন্দীপ শাহ বলেন, "এই সময় দিনে দশ হাজার টাকার বিক্রি সাধারণ ঘটনা। এবারও চৈত্র সেলের ছাড় রয়েছে। কিন্তু দিনভর চিৎকার করেও তিন হাজার টাকার কারবার হচ্ছে না।" একই পরিস্থিতি বিধান মার্কেটে। সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, "বিক্রি নেই। ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। এবার প্রতি দোকানে প্রচুর মাল আটকে যাবে।"
চৈত্রে সেলে ফাঁকা বাজার। নিজস্ব চিত্র।
[আরও পড়ুন: ডকুমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ফিচার আনছে WhatsApp! জেনে নিন খুঁটিনাটি]
কেন এমন পরিস্থিতি?
ব্যবসায়ীরা জানান, নির্বাচনের জন্য পর্যটক কমে যাওয়ায় হংকং মার্কেট, বিধান মার্কেটে বিক্রি নেই বললেই চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারে শামিল থাকায় শহরের বাজারে আসছেন না। মহাবীর স্থানের ব্যবসায়ী রাজেশ আগরওয়াল বলেন, "ব্যবসায়ীরা এই সময় চৈত্র সেলের দিকে তাকিয়ে থাকে। পোশাকের ব্যবসা ভালো হয়। কিন্তু এবার কিছুই নেই। দিনভর দোকান খুলে রেখে বসে থাকতে হচ্ছে।" প্রতি বছরের মতো এবারও হিলকার্ট রোডের ফুটপাত ভরেছে পোশাক, জুতো, প্রসাধনীর সামগ্রীতে। কিন্তু এক থেকে দেড়শো টাকা দামের গেঞ্জির খদ্দের মিলছে না। এই সময় পাহাড়ের ক্রেতাদের ঢল নামে। সেটা এবার নেই। ভোটের প্রচারে জড়িয়ে থাকায় অনেকে চৈত্র সেলের বাজারে কেনাকাটা করতে আসার ফুরসত পাচ্ছেন না। আবার অনেকে নির্বাচনের সময় কোথায় কী হবে ভেবেও আসছেন না বলে ব্যবসায়ীদের অনুমান।