সুব্রত বিশ্বাস: লক্ষীপুজোর দিন সকালেই গাড়ি দুর্ঘটনা। লিলুয়া (Liluah) রেল আবাসনের মধ্যে এই দুর্ঘটনায় আহত পথচারী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুব্ধ আবাসিকরা। গাড়ি চালানো শেখার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। অফিসারদের আবাসন যে গার্ডেনার রোডে সেখানেই এই দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ তারা।
[আরও পড়ুন: উচ্চতা কমেছে প্রতিমার, বন্ধ মেলা, করোনার কোপে জৌলুষহীন লক্ষ্মীপুজো কাটোয়ায়]
আধিকারিকদের অভিযোগ, আবাসনগুলিতে বাসিন্দা কমে আসায় এলাকাগুলো কার্যত ফাঁকা। আবাসন চত্বরে রাস্তা ভাল হওয়ায় বহু মানুষ সকালে ও রাতে গাড়ি চালানো শিখতে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। রেল আবাসনে এই ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। বাইরের লোকজন বেআইনিভাবে গাড়ি নিয়ে শিখতে আসে। বিশেষত মহিলা ও কিশোরীদের গাড়ি চালানো শেখাতে এক শ্রেণির চালাক সেখানে হাজির হন সকালে ও রাতে। গাড়ির পাশাপাশি স্কুটারও এক পদ্ধতিতে শেখানো হয় বলে অভিযোগ। পুরোপুরি ঘেরাটোপের মধ্যে কি ভাবে এই বে আইনি গাড়ি চালানোর বিষয়টি ঘটে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আবাসিক রেল আধিকারিকরা। আরপিএফ গেটে থাকে, আবাসনের মধ্যে বেলুড় থানা তার মধ্যে এই বে আইনি বিষয়টি ঘটে চলায় প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবাসিকরা। তাদের অভিযোগ, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এরপর যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাশেই শিশুদের স্কুল রয়েছে। বিপদ ঘাড়ে নিয়ে আবাসিকরা থাকলে এই ব্যবস্থা বন্ধ হচ্ছে না অভিযোগ সত্বেও। আরপিএফ সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ ইন্ডিকাটি আটক করা হয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি বেশ কয়েকশো আবাসনের মধ্যে অধিকাংশ ফাঁকা থাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগ উঠেছে বারবার। সম্প্রতি রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদাসীনতায় আবাসনগুলির বিপজ্জনক দশা। সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ঘেরাওয়ের পর তারা এক বিপজ্জনক আবাসনের তালিকা তৈরি করেছে। যাতে ২৬ আবাসনের পরিস্থিতি ভয়ানক খারাপ বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবাসিকরা এমনিতেই আতঙ্কে রয়েছেন। তার উপর বাড়তি আতঙ্ক গাড়ি দুর্ঘটনার বলে তারা জানান। রেল বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।