জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বনগাঁর তৃতীয় করোনা আক্রান্ত কার্যত ঘুম উড়িয়েছেন এলাকাবাসী থেকে প্রশাসনের। কারণ, কয়েকদিন আগেই বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার খানিক উন্নতি হলে বাড়ি আনা সেখানেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল কয়েকজনের। সেই কারণেই এক ধাক্কায় আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হয়েছে এলাকা। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে আক্রান্তের বাড়ি।
বনগাঁ পুরসভার পুরপিতা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। কয়েকদিন আগেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। সাধারণ বিভাগেই ছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। ২ তারিখ অবস্থায় অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় করোনা পরীক্ষা করলে জানা যায় তিনি আক্রান্ত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই নিজে হাতে বাঁশ পুঁতে আক্রান্তের বাড়ি ঘিরে দেন পুরপিতা ও এক পুলিশ আধিকারিক। স্যানিটাইট করা হচ্ছে গোটা এলাকা। সেই সঙ্গে সুরক্ষার খাতিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বনগাঁ বাজার।
[আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, ভিজতে পারে উত্তরের জেলাগুলিও]
কিন্তু এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে স্থানীয়রা, কারণ ওই মহিলার রক্ত নেওয়ার কারণে যারা নিয়মিত তাঁর সংস্পর্শে আসতেন তাঁরা এলাকার অন্যদের বাড়িতেও যেতেন। এছাড়া মহিলার বাড়ির পরিচারিকা আরও ৫ বাড়িতে কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। তাই প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যে অ্যাম্বুল্যান্সে ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যাতায়াত করেছেন তাঁর চালককেও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের কাছে স্থানীয়দের আবেদন যাতে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে অমিল অ্যাম্বুল্যান্স, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু ক্যানসার আক্রান্ত খুদের]
The post করোনা আক্রান্ত প্রতিবেশী, সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার দাবিতে সরব স্থানীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.
