সম্যক খান, মেদিনীপুর: এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের পেটানোর বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন মেদিনীপুরের প্রথিতযশা চিকিৎসক সিদ্ধার্থ ঘোষ। কোনও হাসপাতালে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। মেদিনীপুর শহরের ডাকবাংলো রোডে নিজের বাড়িতেই আছে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের চেম্বার।
[আরও পড়ুন- মোবাইল নম্বর ব্লক করেছে প্রেমিক,অপমানে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী]
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তারবাবু তাঁর নিজের চেম্বারে ঢোকার মুখেই একটি মোটা বাঁশের টুকরো, তার উপর একটি পাথর ও একটি গামছা রেখে দিয়েছেন। পাশে সাঁটানো পোস্টারে লেখা আছে ‘ডাক্তার পেটানোর বাঁশ, পাথর ও মুখ ঢাকার গামছা পাওয়া যায়।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে চেম্বারে রোগী দেখার আগেই অভিনব প্রতিবাদের পন্থাটি বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুক ওয়ালে তা পোস্টও করেছেন। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাত্র ঘণ্টাতিনেকের মধ্যেই শতাধিক ব্যক্তি ওই পোস্টটিকে শেয়ারও করে ফেলেছেন।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চারিদিকে যেভাবে ডাক্তার পেটানো চলছে তাতে প্রতিবাদ জানাতেই হয়। আর রোগী বা রোগীর পরিজনদের যাতে ডাক্তারকে মারার জন্য বাইরে গিয়ে বাঁশ বা পাথর যোগাড় করতে সমস্যা না হয়। সেজন্য আগেভাগেই সব জোগাড় করে রাখলাম। এই অভিনব পন্থাতেই প্রতিবাদ জানালাম।”
[আরও পড়ুন- এনআরএস কাণ্ডের আঁচ এড়িয়ে কর্তব্যে অনড় গ্রামীণ চিকিৎসকরা]
গত ১০ জুনের এনআরএস-র ঘটনার পর তিনদিন অতিক্রান্ত। এখনও রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রে জারি রয়েছে অচলাবস্থা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম-এ গিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসেন। জানিয়ে দেন, চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে না ফিরলে তাঁদের উপর ‘এসমা‘ জারি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিতে কার্যত হিতে-বিপরীত হয়। কাজে না ফিরে আরও তীব্রতর আন্দোলনের পথ ধরেন চিকিৎসকরা। তাঁদের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে গিয়ে নিজেদের দাবিও জানিয়ে আসে। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের চারটি বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তারপরই, চলতি অচলাবস্থা কাটাতে আবেদন করেন তিনি। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আন্দোলন তুলে নেওয়ার আরজি জানান। এবং জানিয়ে দেন ডাক্তারদের দাবি রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।
The post ‘ডাক্তার পেটানোর সামগ্রী পাওয়া যায়’, চেম্বারের সামনে পোস্টার লাগালেন চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.
