বিক্রম রায়, কোচবিহার: পঞ্চায়েতে পদ্ম ফুটল না সেই শীতলকুচিতে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে দিলেও পঞ্চায়েত ভোটে তাঁদের থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়ে নিল কোচবিহারের ‘অভিশপ্ত শীতলকুচি’র বাসিন্দারা। হাজার চেষ্টা করেও সেখানে পদ্মফুল ফোটাতে পারেল না বিজেপি। ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই (Panchayat Election 2023) জয়ের পথে তৃণমূল।
বিধানসভায় ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিকাণ্ডে ৪ জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খবরে উঠে এসেছিল শীতলকুচি (Sitalkuchi)। ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ঘটে গিয়েছিল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বুথের বাইরে জমায়েত হঠাতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এ নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে ভোটের বঙ্গ। সেখানে ফের ভোটগ্রহণের দাবি ওঠে। গোটা ঘটনা এতটা স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে যাতে সবদিক খতিয়ে দেখে তবেই সেখানে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: মমতার মামার বাড়ির গ্রামে ফুটল পদ্ম, ৩টি’র মধ্যে ২টি আসনে জয়ী BJP]
তার জন্য সবরকম তথ্যপ্রমাণ ভালভাবে খতিয়ে দেখা হয়। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়। পরে সেখানে পুনর্নির্বাচনও হয়। ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে সেই হিসেব ওলটপালট হয়ে গেল বিজেপির।
তবে সেই স্বজনহারা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিয়েছিলেন চাকরিও। মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর সেই অবদানের কথা ভোলেনি শীতলকুচির মানুষ। দু’হাতে সেই অবদান তৃণমূলকে ফিরিয়ে দিলেন তারা। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আর তাই ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবক’টিতেই নিরঙ্কুশ জয়ের পথে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: চকিতে দলবদল! লাল পার্টির হয়ে জিতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএম প্রার্থী]