গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) ফলপ্রকাশের এতদিন পরও দিকে দিকে উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট পেপার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কখনও গণনাকেন্দ্রের বাইরে, কখনও জঙ্গলে, কখনও আবার জলাশয়ের ধারেও উদ্ধার হচ্ছে জনরায় দেওয়া ব্যালট। এবার পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে সেই পেপার উঠে এল মৎস্যজীবীদের জালে! বসিরহাটের হাসনাবাদ (Hasnabad) এলাকার ঘটনায় চোখ ছানাবড়া জেলেদের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ ব্লকের পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটলিখানপুর গ্রাম। সেখানে একটি পুকুর থেকে মাছ ধরার সময় উদ্ধার হল ব্যালট পেপার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, পেশায় মৎস্যজীবী (Fisherman) সুবহান গাজি পুকুরে জাল ফেলেছিলেন মাছ ধরার জন্য। কিন্তু জাল টানতেই জালের মধ্যে আটকে থাকা প্রচুর ব্যালট পেপার বেরিয়ে আসে। আর তা দেখে বিস্মিত হয়ে যান সুবহান গাজি। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীদের খবর দেন তিনি। তাঁরাই এসে বাকি ব্যালটগুলি (Ballot papers) উদ্ধার করেন।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে দল পাঠাচ্ছে নবান্ন, নেতৃত্বে সেচমন্ত্রী, টুইট মুখ্যমন্ত্রীর]
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ভোটগ্রহণ, গণনা, ফলপ্রকাশের পরও কীভাবে ব্যালট উদ্ধার হচ্ছে? গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ব্যালট পেপার পুকুর থেকে উদ্ধার ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল। প্রসঙ্গত, ভোটের দিন পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শাসক ও বিরোধী দল উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল। যদিও খুব বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এবার সেই এলাকা থেকেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ব্যালট পেপার উদ্ধার হল পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে। মনে করা হচ্ছে, ব্যালটগুলি নষ্টের উদ্দেশে ফেলে দেওয়া হয়েছিল পুকুরে।