অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ২০০ বছরের রীতি মেনে এবারও অকাল দোল উৎসবে মাততে চলেছে হাওড়ার ডোমজুড়ের মাকড়দহের বাসিন্দারা। প্রথা মেনে আজ, মঙ্গলবার হবে চাঁচড় (নেড়াপোড়া)। আগামিকাল হবে পঞ্চম দোল। এই চাঁচড় ও দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে মাকড়দহে বসবে বিরাট মেলা। আগামী শনিবার হবে অন্নকূট উৎসব। এই কয়েকটা দিন রীতিমতো উৎসবে মেতে থাকবেন মাকড়দহ ও তাঁর আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।

প্রতি বছর মূলত মাকড়চণ্ডী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই দোলের পর পঞ্চম দোল উৎসব হয় ডোমজুড়ের মাকড়দহে। দোলে পূর্নিমার পঞ্চমীর রাতে হয় নেড়াপোড়া। মঙ্গলবার রীতি মেনে ঢাক ঢোল বাজিয়ে মাকড়চণ্ডী মন্দির থেকে চাঁচড় সাজিয়ে মন্দিরের পিছনে সরস্বতী নদীর পাড়ে হবে নেড়াপোড়া। নেড়াপোড়া শেষে হবে বাজি পোড়ানো। রাত ৩টে পর্যন্ত চলবে বাজি পোড়ানো। যা দেখতে প্রতিবছর জমায়েত করেন প্রচুর মানুষ। আগামিকাল, বুধবার সকালে সুর্যোদয়ের সঙ্গেই শুরু হবে দেবদোল উৎসব। প্রতিবছরের মতোই এবারও ভক্তরা মা মাকড়চণ্ডীর পায়ে আবির উৎসর্গ করে সেই আবিরে রঙিন হবেন। এই রীতি পঞ্চম দোল নামে খ্যাত।
পঞ্চম দোল উপলক্ষে মন্দিরের প্রাঙ্গনে ১৫ দিন চলবে মেলা। প্রতিবছরই এই উৎসবে সামিল হতে ও মেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কথিত আছে, ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে যখন মার্টিন রেল চালু ছিল। তখন ওই রেলে চেপে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ মাকড়দহে পঞ্চম দোল উৎসব দেখতে আসতেন। মাকড়চণ্ডি মন্দির কমিটি সুত্রে জানা গিয়েছে, ১২২৮ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরের সংস্কার করেন এখানকার তৎকালীন মহিয়াড়ির কুণ্ডু চৌধুরী বংশের জমিদাররা। আর তারপর থেকেই এই মাকড়চন্ডি মন্দিরে মায়ের পায়ে আবির দিয়ে পালিত হয় পঞ্চমদোল উৎসব।