অর্ণব দাস, বারাকপুর: ইট দিয়ে থেঁতলে, গুলি চালিয়ে নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের পর সন্ধ্যা নামতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল নৈহাটির গৌরীপুর সংলগ্ন এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অর্জুন সিংয়ের একটি কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। গড়িফার সিং ভবনে ঢুকে ভাঙচুরও চলে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে এই সিং ভবন থেকেই বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং তাঁর যাবতীয় নির্বাচনী কাজকর্ম চালাতেন। তৃণমূল কর্মী খুনে রোষ আছড়ে পড়ল সেই কার্যালয়েই।

শুক্রবার দুপুরে গৌরীপুরে টোটো চড়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা পথরোধ করে খুন করে সন্তোষ যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মীকে। বছর চল্লিশের সন্তোষকে প্রথমে ইট দিয়ে থেঁতলানোর পর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর শুরু হয়। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি ভাটপাড়ার 'বাহুবলি' নেতা অর্জুন সিংকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে। পালটা অর্জুনের দাবি, সন্তোষ এবং হামলাকারী হিসেবে নাম উঠে আসা রাজেশের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াইয়ে এই ঘটনা। দুজনেই তৃণমূল কর্মী।
উভয়ের বাকযুদ্ধের পর সন্ধ্যায় এলাকা কার্যত রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গৌরীপুর জুটমিল লাইনে বিজেপি কর্মী কানাই সাউয়ের বাড়ি ভাঙচুর হয়। গড়িফার বিজেপি সমর্থক বিকাশ কুমার সিংয়ের এক অনুষ্ঠান বাড়িতে আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এছাড়া সিং ভবন, অর্জুন সিংয়ের অন্যতম পার্টি অফিসের জ্বলে আগুন। এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেখানকার। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তের বাইরে।