shono
Advertisement

রবিউল জঙ্গি! মানতে পারছেন না মুরারইয়ের মিত্রপুর গ্রামের প্রতিবেশীরা

হতবাক পরিবারের লোকেরা। The post রবিউল জঙ্গি! মানতে পারছেন না মুরারইয়ের মিত্রপুর গ্রামের প্রতিবেশীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:22 AM Jun 26, 2019Updated: 10:22 AM Jun 26, 2019

নন্দন দত্ত, সিউড়ি:  রবিউল ইসলাম জঙ্গি। বিশ্বাস করতে পারছে না তার গ্রাম মিত্রপুর। মঙ্গলবার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্য গ্রাম জুড়ে। পরিবারের লোক হতবাক। রবিউলের মা জানান, “আমরা দিন আনি দিন খাই। রবিউল বাড়িতে নেই। তাই তেরো দিন হাঁড়ি চড়েনি। জঙ্গি কী জিনিস জানি না। বাংলাদেশের লোক বা বাইরের কোনও লোক কোনওদিন আমাদের বাড়িতে আসেনি। ও জেলে গেলে আমাদের চলবে কী করে।” বিশ্বাস না করলেও, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত রবিউল ইসলামের নাম প্রকাশ্যে আসতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের মাথায়।  মুরারই থানার মিত্রপুর পঞ্চায়েতের নয়াগ্রামের ক্যানেল পাড়ের প্রতিবেশীরা সাহস করে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন।  রবিউল দেশবিরোধী কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর উত্তর মিলছে না।   

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলকাতায় ইসলামিক স্টেটের ছায়া, শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার ৪ জঙ্গি]

দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী এরজাহান শেখ। তাঁর ছেলে বছর বত্রিশের রবিউল। মিত্রপুর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে। এরজাহান শেখের দুই ছেলে। বড় ছেলে জুলফিকার আলি। ছোট ছেলে রবিউল ইসলাম। রবিউলের দুটি বিয়ে। আট বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে। বছর দেড়েক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে রবিউল।  দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বর্তমানে সন্তানসম্ভবা। ২০১৪ সালে দুই ভাই কাশ্মীরে যায় কাজ করতে।  সেই সময় খাগড়াগড় কাণ্ডে জুলফিকারকে ধরে পুলিশ। ২৩ দিন কাশ্মীরে বারমুলা থানায় আটক থাকে জুলফিকার। সেখানে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পুলিশ তাকে ছাড়তে বাধ্য হয়। কর্মসূত্রে আসানসোলে থাকলেও, ইদ উপলক্ষে বাড়িতে আসে রবিউল। গত ১২ জুন মূর্শিদাবাদের শাকিলাতে ভায়রাভাইয়ের বাড়িতে যায়। ১৩ জুন সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ জঙ্গিপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে হাওড়া যায়।  ১৪ জুন সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশন থেকে ভায়রাভাইকে ফোন করে বলে, ‘আমি উলুবেড়িয়া যাব।’  তারপর রাত এগারোটা নাগাদ নিজের স্ত্রীকে ফোন করে সে জানায়,  ‘আমি বাড়ি ফিরছি। আমার মোবাইলে চার্জ নেই।  পরে কথা বলছি।’ তারপর বাড়িতে যোগাযোগ নেই। কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। 

গত ২৩ তারিখ  থানায় রবিউলের নিখোঁজ ডায়েরি হয়।  আসানসোলে রাজমিস্ত্রির কাজ করত রবিউল।  চলতি মাসের ১৫ তারিখ পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় রবিউলের। ১৩ দিন আগে রবিউল বাড়ি থেকে বের হয়। স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, মিত্রপুরের অধিকাংশ লোক পেটের দায়ে ঠিকা শ্রমিক ও বাইরে কাজ করেন। মা উম্মাহানি বিবি ও বাবা এরজাহান শেখ  জানান, রবিউলের দাড়ি আছে। পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়ে। দুই ছেলের রোজগারের উপর পরিবার বেঁচে আছে। মিত্রপুর অঞ্চলের প্রধান বাসারুজ্জামান মোল্লা বলেন, “রবিউল ইসলাম ভাল ছেলে। পেটের দায়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। খুব গরিব পরিবার। সঠিক তদন্ত হলে, নিশ্চয় ছাড়া পাবে।” 

[আরও পড়ুন: প্রতিবাদের ভাষা শেখালেন কিশোরী, প্রকাশ্যে ইভটিজারকে জুতোপেটা স্কুল ছাত্রীর]

The post রবিউল জঙ্গি! মানতে পারছেন না মুরারইয়ের মিত্রপুর গ্রামের প্রতিবেশীরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement