রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: পরপর পাখি শিকারের ঘটনায় তোলপাড় কামাখ্যাগুড়ি এলাকা। একের পর এক মেরে ফেলা হয়েছে নীলকণ্ঠী-বসন্ত বৌরি, ময়না, ঘুঘু ও কোকিল। পক্ষীপ্রেমীদের অভিযোগ, মাংস খাওয়ার জন্যই লাঠির আগায় সূচালো ছুরি বেঁধে পাখিগুলোকে মারা হয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ করেছে স্থানীয় পাখিপ্রেমী সংস্থা স্পোর (সোসাইটি ইপ প্রোটেকটিং অফিওফনা অ্যান্ড অ্যানিম্যাল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বক্সা টাইগার রিজার্ভের পূর্ব বিভাগের উপক্ষেত্র অধিকর্তা দেবাশিস শর্মা বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিছু ছবিও পাওয়া গিয়েছে। পাখিগুলোর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পাখির নমুনা জুওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াতে পাঠানো হয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। পাখি মারার যন্ত্র ও পাখির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।" তবে এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে বনদপ্তর জানতে পেরেছে, কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ছেলে মাংস খাওয়ার জন্যই পাখিগুলোকে মেরেছে। লাঠির আগায় সরু সূচালো ছুরির আঘাতে পাখিগুলোকে মারা হয়েছে। পাখি মারার যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পাখিপ্রেমী সংস্থার ত্রিদেব সরকার বলেন, “এভাবে লুপ্তপ্রায় পাখি মারা বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনা পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।"
