অর্ণব দাস, বারাকপুর: মেসির কলকাতা সফরে চরম বিশৃঙ্খলার সাক্ষী হয়েছে যুবভারতী। তবে এসবের মাঝেও ঈশ্বরের সাক্ষাৎ পেয়েছেন ইছাপুরের নবাবগঞ্জের বাসিন্দা চা বিক্রেতা শিবশংকর পাত্র। ফুটবলের রাজপুত্রের ডাইহার্ড ফ্যান শিবশংকরবাবুর মেসি-উন্মাদনা এলাকায় সর্বজনবিদিত। নিজের আস্ত বাড়িটাকেও রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকার নীল-সাদা রংয়ে। সেই বাড়ি দেখতে ফি-দিনই উৎসাহী লোকজন ভিড় জমান। বহুদিনের ইচ্ছে ছিল, স্বপ্নের মহাতারকার সঙ্গে দেখা করার। অবশেষে তা সম্পূর্ণ হল। রথ দেখার সঙ্গে হল কলা বেচাও। শুধু লিওনেল মেসির সঙ্গে দেখা করাই নয়, নিজের বাড়ির ছবি তাঁকে দেখিয়ে নিলেন তাঁর অটোগ্রাফও। নবাবগঞ্জের 'শিবেদা'-র কীর্তি এখন মুখে মুখে।
সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেসিকে একঝলক দেখতে না পেয়ে দর্শকদের কেউ ক্ষোভে, কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, সেখানে ওই সমস্ত কিছু দেখে নিজের ভাগ্যকেই অকুণ্ঠ ধন্যবাদ দিচ্ছেন শিবশংকরবাবু। আজ নয়, দীর্ঘ ২০ বছর ধরেই মেসি-জ্বরে আক্রান্ত শিবশংকর। 'গুরু' মেসির জন্মদিনে প্রত্যেক বছর দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি আরও নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন তিনি। তাঁর বাড়ি থেকে দোকান, সবই আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের রংয়ে, নীল-সাদা। বাড়ির ভিতরে দেওয়ালে টাঙানো মেসির শতাধিক ছবি।
এদিন জানালেন, বহুদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল, লিওনেল মেসির সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করার। সেই সুযোগটাও অবশেষে চলেই এল। শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের উদ্দেশে মেসি রওনা দেওয়ার আগে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে ফুটবলের রাজপুত্রের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান শিবশংকরবাবু। সাক্ষাৎ করে একমুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি। তাঁর বাড়ি ও দোকানের ছবি এগিয়ে দেন, যাতে আর্জেন্টিনার পতাকার রং জ্বলজ্বল করছে। সংগ্রহ করেন অটোগ্রাফ। তারপর থেকে কার্যত স্বপ্নের সাগরে ভাসছেন তিনি। যেখানে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী বিপুল টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও মেসির দেখা পেলেন না, সেখানে নিজেকে ভাগ্যবান ছাড়া আর কী-ই বা বলবেন তিনি!
