অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ‘টক টু মেয়রে’ ফোন করে মেয়র গৌতম দেবকে (Goutam Deb) কটাক্ষ এক বাসিন্দার। ফোনে সরাসরি বলে দেন, “আপনাকে ভোট দেওয়াটা মোটেই উচিত হয়নি।” ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীর আর্য এই অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য, “গৌতম দেব মেয়র হবে বলেই ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও ওয়ার্ডে কোনও কাজ হচ্ছে না। এখন মনে হচ্ছে ভোট দেওয়াই উচিত হয়নি।” এদিকে এরকম ফোন পেয়ে কিছুটা হলেও হতচকিত হয়ে যান মেয়র। তিনি ফোনেই জানতে চান, “স্থানীয় সাংসদ কিংবা বিধায়ককে জানিয়েছে কিনা? তাঁরা কী করছে সেখানে?” তবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
প্রতি শনিবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে নিয়ম করে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বসেন মেয়র গৌতম দেব। এদিনও তিনি শহরের মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে বসেছিলেন। প্রথম দিকে সব ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু মাঝপথেই তাল কাটে গোটা অনুষ্ঠানের। যখন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীর আর্য ফোন করে অভিযোগ করেন তাঁদের এলাকায় রাস্তা ভাঙা, পানীয় জলের সমস্যা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই হাল তাঁদের। এরপরেই তিনি হঠাৎ বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে বেকার ভোট দিয়েছি আপনাকে।’
[আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অপহরণ! নাবালিকা মেয়ের খোঁজে হাই কোর্টে বাবা, CID তদন্তের নির্দেশ]
এই কথা শুনেই চটে যান মেয়র গৌতম দেব। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে বলেন, “স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক কী করছেন? তাঁদেরকে জানাননি কেন। পুরনিগম কাজ করছে। আপনার ওই এলাকাতেও কাজ করা হবে। আমি ওই এলাকার বিধায়ক থাকাকালীন প্রচুর কাজ করেছিলাম। আর পানীয় জলের সমস্যা আর কিছুদিনের মধ্যেই মিটে যাবে।”
প্রসঙ্গত, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির অধীনে। ওই এলাকার সাংসদ ও বিধায়ক দুজনই বিজেপির। এদিকে পরে ওই সমীর আর্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে তৃণমূল কাউন্সিলর মুন্না প্রসাদ রয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের এলাকাতেই পা দেন না। আর আমরা তাঁকে দেখে ভোট দিইনি। আমরা গৌতম দেবকে দেখেই ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটা আমাদের বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ডে কোনও কাজ হচ্ছে না।” এদিকে এবিষয়ে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে। এটা তারই প্রতিফলন মাত্র। আমরা এই এলাকায় প্রচুর কাজ করছি।”
