বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য ও শান্তনু কর: ফের সাপের তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়াল স্কুল চত্বরে। পার পেল না হাসপাতাল! জলপাইগুড়ির জোড়া ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য।
সোমবার রাতে আচমকাই আস্ত একটি সাপ ঢুকে পড়ে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সাপটিকে ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ঢুকে পড়ে প্রায় ৬ ফুট লম্বা একটি দারাস সাপ। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভরতি থাকা রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা দেখতে পান ঘরের দরজার সামনে একটি বিশাল সাপ! খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা এসে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সাপটিকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত তো হিন্দু রাষ্ট্র হয়েই গিয়েছে, এই নিয়ে বিতর্কের কী আছে?’, বিস্ফোরক কমল নাথ]
এদিকে, বর্ষার মরশুমে মঙ্গলবার ফের স্কুল ঘরে ঢুকল সাপ। এই নিয়ে তিনদিনে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির তিনটি স্কুলে হানা দিল সাপ। গত শনিবার দু’টি স্কুলে হানা দিয়েছিল বিষধর। সাপের কামড়ে অসুস্থও হয়ে পড়ে ধূপগুড়ি গার্লস স্কুলের এক ছাত্রী। মঙ্গলবার ফের সাপের হানা। ধূপগুড়ির জুড়াপানি হাইস্কুল থেকে উদ্ধার হয় বিষধর শঙ্খিনী সাপ। যাকে দেখে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে গিয়েছিলেন ছাত্র-শিক্ষক সকলেই। এদিন স্কুলের শৌচাগারের ভিতর সাপটিকে কুণ্ডলি পাকিয়ে বসে থাকতে দেখে পড়ুয়ারা। স্কুলের শিক্ষক প্রসেনজিৎ মণ্ডল জানান, ছাত্ররাই প্রথম স্কুলের শৌচাগারের ভিতর সাপটিকে লক্ষ্য করে। পরিবেশ কর্মীদের খবর দিলে তাঁরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
সর্প বিশেষজ্ঞ মিন্টু চৌধুরী বলেন, বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ এই সময় চারপাশে জল জমে যায়। তাই উঁচু জায়গার খোঁজে সাপ গোডাউন, ঘর, স্কুলের মতো জায়গা বেছে নেয়। যে সাপটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি অত্যন্ত বিষধর শঙ্খিনী সাপ। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রতিটি স্কুলবাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি সকলকে এই সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
