সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরকন্যা অভিযানে অংশ নেতা দলীয় কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিজেপির (BJP) তরজা অব্যাহত। ইতিমধ্যে তাঁর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এসেছে। ছররা গুলির চিহ্ন মিলেছে। তবে ওই গুলি কে বা কারা চালাল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে, উলেন রায়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নামল সিআইডি ও এসটিএফ। মঙ্গলবার সকালে এনজেপি থানায় যান এসটিএফের এসপি অমরনাথ কে, ইনস্পেক্টর হেমন্ত শর্মা, সিআইডির দার্জিলিং গোয়েন্দা শাখার ইনস্পেক্টর শ্যামল দাস, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি রাজেন ছেত্রী-সহ অন্যান্যরা৷ কীভাবে উলেন রায়ের মৃত্যু হল সেই বিষয়ে থানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সকালে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) তরফে টুইট করে জানান হয়, শিলিগুড়িতে নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শরীরে ছররা গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশ ছররা গুলি ব্যবহার করে না। নিশ্চয়ই ওই মিছিল কোনও দুষ্কৃতী ছিল। তারাই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট যে, কেউ খুব সামনে থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। অশান্তি তৈরির জন্য এ কাজ করা হয়েছে। সিআইডি ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সত্যি সামনে আসবে।
[আরও পড়ুন: নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, খুনের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে]
যদিও রাজ্য পুলিশের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। তিন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। ভিডিওগ্রাফিরও দাবি জানিয়েছে। এই মর্মে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। এদিকে, পুলিশের ব্যাখ্যা পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। তিনি বলেন, “পুলিশই গুলি চালিয়েছে। কমপক্ষে হাজারখানেক প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। পরিবারকে জোর করে মুচলেকা লেখা হয়েছে। কোনও দুষ্কৃতী মিছিলে থাকলে কিংবা গুলি চালালে তাকে মিছিলকারীরাই ধরে ফেলত।” পুলিশের পোশাকে দুষ্কৃতীরা মিছিলে ছিল বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ সায়ন্তনের। বিজেপিকে ভয় দেখাতে ছররা গুলির ব্যবহার করা হয়েছে বলেই অনুমান তাঁর।