সম্যক খান, মেদিনীপুর: করোনা আতঙ্কের জেরে অন্ত্যেষ্টিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেই আশঙ্কায় ক্যানসার রোগে মৃত মহিলার মৃতদেহ না নিয়েই চলে গেলেন পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত মহিলার ভাই ঘনশ্যাম পণ্ডিতের বক্তব্য, “করোনা আশঙ্কায় গ্রামের শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে গ্রামের মোড়লরা। এমনকি মেদিনীপুরের পদ্মাবতী শ্মশানেও দাহ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তাই আমরা মৃতদেহ নিইনি।”
অপরদিকে বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে পরিবারের লোকজন চলে যাওয়ায় ফাঁপরে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিবারের কেউ একবারের জন্যও দাহ নিয়ে কোনও সমস্যার কথা জানায়নি। উল্লেখ করা যেতে পারে মৃত মহিলার নাম প্রতিমা মুখোপাধ্যায় (৩১)। বাড়ি বেলদা থানার উত্তর বাসুটিয়া গ্রামে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ডায়মণ্ড হারবারে। তাঁর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। প্রায় বছর দেড়েক আগে তার রেকটাম ক্যানসার ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা চলছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
[আরও পড়ুন: বাংলার আরও ৬ জেলা রেড জোনে, সংশোধিত তালিকা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক]
পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন বাপের বাড়ির লোকজন। সেখান থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। লকডাউন চলতে থাকায় শারীরিক সমস্যা হওয়ায় তাঁকে তিনদিন আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি মারা যান। তারপরই করোনা আতঙ্কে দাহ সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিবারের লোকজন মৃতদেহ রেখেই চলে যায়।
[আরও পড়ুন: বাংলার মাছে তৃপ্ত ভাগলপুরবাসী, করোনা ঠেকাতে বিহারি ঘিয়ে মজে বাংলা]
The post করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দাহ করার সমস্যা, দেহ হাসপাতালে রেখেই পালাল আত্মীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.
