সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভের আঁচ এখনও চড়া। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদে শামিল হচ্ছে প্রায় রোজই। একেকটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে নতুন করে বারবার উত্তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ। বিষয়টি আর শুধু এক ছাত্রের মৃত্যুতেই সীমাবদ্ধ নেই। একটি মৃত্যুর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আরও অনেক কিছু। দোষী কারা? কারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন? আদৌ তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না, এসব প্রশ্ন উঠছেই। ছেলের মৃত্যুর মতো এত বড় ঝড় সামলে পরিবারও সরব প্রকৃত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে নদিয়ার (Nadia) বগুলায় নিহতের বাড়িতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)দাবি তুললেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হোক।
শুক্রবার বগুলায় নিহত ছাত্রের বাড়ি গিয়ে বাবার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক। পুত্রহারার মাকে সান্ত্বনা দেন, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ভরসা জোগান। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতার দাবি, ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজনের পিছনের শাসকদলের পরোক্ষ মদত রয়েছে। দীপশেখর দত্তের দাদা রাজশেখরের নাম উল্লেখ করে শুভেন্দুর দাবি, ওর দাদা আই-প্যাকের (I-Pac) কর্মী। সেই কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাই হয়নি। এছাড়া যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে পুলিশের যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাদেরও চাপ দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, কাকে গ্রেপ্তার করতে হবে, কাকে ছেড়ে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘খুন করতেই পারে না আরিফ’, যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুতে ভাই গ্রেপ্তার হতেই কলকাতায় কাশ্মীরের মারুফ]
এসব অভিযোগ তুলেই শুভেন্দুর দাবি, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ এর তদন্তে থাকলে কখনওই নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। তাই আদালতের নজরদারিতে এই ঘটনার তদন্ত হোক। সেই দাবি করছি আমরা। ছেলেটির বাবার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছি। ওর মা খুবই শোকসন্তপ্ত। তবু তিনি আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। আমি আমার ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি। বলেছি, যে কোনও রকম দরকার লাগলে জানাতে বলেছি। যতটা পারব আমরা লড়ে যাব, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হবেই।”
