সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যবাসীর উদ্বেগ বাড়িয়ে একরাশ আতঙ্ক ছড়িয়ে নিঃশব্দে বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। কলকাতা তথা গোটা রাজ্যেই শক্তিশালী এই সাইক্লোনের বিরাট কোনও প্রভাব পড়েনি। অন্তত হতাহতের কোনও খবর নেই। শুক্রবার রাতে বিক্ষিপ্ত ও ভারী বৃষ্টি হলেও গ্রীষ্মকালের আর পাঁচটা দিনের মতোই শনিবার এ শহরে রোদের উত্তাপ ছিল বেশ চড়া। বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও ছিল না। তবে রাজ্যবাসীকে ফের স্বস্তি দিতে রবিবারই বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
[আরও পড়ুন: পণের দাবিতে বধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় স্বামী]
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধেতেই ঝাড়গ্রাম তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। যদিও কলকাতায় বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে অন্যান্য জেলায় বৃষ্টি হলে শহরের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। অর্থাৎ তিলোত্তমায় ঠান্ডা হাওয়া বইতে পারে। ফণী আতঙ্ক কাটিয়ে এমন মনোরম আবহাওয়া সাময়িকভাবে স্বস্তি দিতে পারে শহরবাসীকে।
গত শুক্রবার ওড়িশায় তাণ্ডবের ভয়াল ছবি দেখে শুক্রবার দিনভর আতঙ্কে প্রমাদ গুনছিল বাংলা। পূর্বাভাস ছিল দিঘায় আঘাত হানবে ফণী। তারপর কলকাতায় ঢুকবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত শহরে পা না দিয়ে বাংলাদেশের পথে ফণী। ভয়াবহ ফণীতে কলকাতা রক্ষা পেলেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতি হয়েছে। ফণীর প্রভাবে গত শুক্রবার দিনভর দিঘায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে অনেক এলাকায় গাছ পড়ে যায়। উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। যদিও শনিবার সকাল থেকেই আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে ঝুঁকি এড়াতে দিঘা পর্যটকশূন্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় ঝড়ের দাপটে ভেঙেছে কাঁচাবাড়ি। একাধিক গাছও উপড়ে গিয়েছিল। প্রশাসনের সহায়তায় সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ওই জেলার বাসিন্দারা। কিন্তু তার আগেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তায় ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিটা ইলেকশনে নতুন অপারেশন করি’, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি অর্জুনের]
The post ফের আকাশের মুখ ভার, সন্ধেয় রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস appeared first on Sangbad Pratidin.
