সৈকত মাইতি, তমলুক: বিজেপির বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা পরাজিত প্রার্থী বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে মারধরের অভিযোগ। তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধূর্পা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বিজেপি।
তমলুক থানার রঘুনাথপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধুর্পা ১৬৪ নম্বর বুথ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিজেপি প্রার্থী তাপস ঘোড়ুই প্রায় ৪০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। দীর্ঘদিনের তৃণমূল জয়ী প্রার্থী অমূল্য জানা এবার আর জিততে পারেননি। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় রবিবার একটি বিজয় মিছিল বেরোয়।
অভিযোগ, বিজেপির বিজয় মিছিল থেকেই আচমকা তৃণমূলের ওই পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ওই তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি হেনস্তা ও মারধর করে বলেও অভিযোগ। গুরুতর জখম হন পরাজিত প্রার্থী অমূল্য জানা-সহ তিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের জানুবসান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: অবরোধ-পালটা লাঠিচার্জ, দুর্ঘটনায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে আমতায় পুলিশ ও জনতা খণ্ডযুদ্ধ]
রঘুনাথপুর এক নম্বর অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ জানার অভিযোগ, “আমার বাবা অমূল্য জানা এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পর আজ যখন আমি বাড়িতে ছিলাম না তখন আচমকা মিছিল থেকেই হামলা চালানো হয়। বাড়িতে ঢুকে তীব্র হেনস্তার পাশাপাশি আমাদের মারধরও করা হয়।”
যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের জয়ী জেলা পরিষদের প্রার্থী তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা প্রশাসন মোর্চার সহ-সভাপতি বামদেব গুছাইত বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের বিজয় মিছিল যাওয়ার সময় অমূল্য মাইতি কটূক্তি করেন। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের প্ররোচিত করে নিজেই বাড়িতে আসবাবপত্র ভেঙে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।” এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তমলুক থানার আইসি অরূপ সরকার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
