সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে নদিয়ার তাহেরপুরের সভাস্থলে পৌঁছোতেই পারলেন না নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পরিবর্তে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই ভার্চুয়ালি ভাষণ দিতে হল প্রধানমন্ত্রীকে। মোদির সেই অডিওবার্তাই শোনানো হল সভায় আসা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করা শুরু করেছে তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বললেন, "মৌসম বিগড় চুকা হ্যায়!" রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরও মন্তব্য, "ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি না থাকলে এরকমই হয়।"
শনিবার দুপুরে মতুয়া গড় তাহেরপুরে সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এসআইআর আবহে সেই সভা থেকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে তিনি কী বার্তা দেন, সে দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। খারাপ আবহাওয়ার কারণেই সভাস্থলেই পৌঁছোতে পারলেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর চপারে করে মোদি (Narendra Modi) সভাস্থলের দিকে রওনাও হয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথ থেকেই তাঁকে আবার কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, সম্ভবত সড়কপথেই নদিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও সম্ভব হয়নি। পরে বিমানবন্দর থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে!
অডিও বার্তায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করেছেন মোদি। বক্তৃতায় ছুঁয়ে গিয়েছেন অনুপ্রবেশ, এসআইআর এবং 'জঙ্গলরাজ'-এর মতো বিষয়। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সুনির্দিষ্ট কোনও বার্তা ছিল না। তা নিয়েও বিজেপিকে বিঁধতে শুরু করেছে তৃণমূল। কুণাল বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ একেবারেই দিশাহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন।” প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ার পরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুণাল। সেখানে তিনি বলেন, "বিজেপি প্রভাবিত নির্বাচন কমিশনের এসআইআর নামক হঠকারিতায় যারা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন, তাঁদের জন্য বার্তা দিতে পারতেন। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও বার্তা নেই।”
যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, "উনি বলেছেন সবার সঙ্গে থাকবেন। কারও নাগরিকত্ব যাবে না। ” যদিও এর আগেও কখনও শান্তনু ঠাকুর আবার কখনও বিজেপি নেতারা মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এরপরেও এ বিষয়ে মোদির আদতে 'চুপ থাকা' বঙ্গের বিজেপি নেতাদের উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
