সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ১২ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক তৃণমূল নেতা। শংকর অধিকারী নামে ওই তৃণমূল নেতা নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর। রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা শংকর অধিকারীর জানান, মাসখানেক আগে গোপাল সর্দার নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। গোপাল বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা। আলাপ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ওই যুবক শংকরের কাছে স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করতে যায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি প্রথমে নিতে চাননি। পরে যদিও তিনি নিয়ে নেন। সোনার দোকানে গিয়ে দেখান মুদ্রাটি। সেটি আসল বলেই জানান সোনার দোকানের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মেমারিতে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি মা, ছেলে-সহ ৩ জনের]
এভাবে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করে গোপাল শংকরকে মোট ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করার কথা জানায়। শংকর রাজি হয়ে যায়। গত ৬ জুলাই ওই তৃণমূল নেতার (TMC leader) বাড়িতে আসে গোপাল ও তার সঙ্গী শ্যাম মুর্মু। ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রা তৃণমূল নেতাকে দেয় তারা। বিনিময়ে ১২ লক্ষ টাকা নেয় গোপাল। এরপর জেরক্স করানোর অছিলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। বহুক্ষণ কেটে গেলেও আর ফিরে আসেনি গোপাল। তাতেই সন্দেহ হয় তৃণমূল নেতার। তাড়াহুড়ো করে সোনার দোকানে যান তিনি। স্বর্ণমুদ্রাগুলিকে (Gold Coin) পরীক্ষা করান। সোনার দোকানের কর্মীরা ওই তৃণমূল নেতাকে জানিয়ে দেন স্বর্ণমুদ্রাগুলি ভুয়ো।
সেকথা শুনে তৃণমূল নেতা হতচকিত হয়ে পড়েন। বারবার গোপালকে ফোন করেন তিনি। যদিও ‘প্রতারকে’র সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি তাঁর। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় যদিও এখনও অধরা অভিযুক্ত। তৃণমূল নেতার দাবি, আইনের উপর আস্থা রয়েছে। নিশ্চয়ই পুলিশের তরফে ‘প্রতারকে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মনে করছেন তিনি। কেন এত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা কিনেছিলেন তৃণমূল নেতা? এ প্রসঙ্গে যদিও তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, বিবাহযোগ্যা দুই মেয়ের কথা ভেবেই স্বর্ণমুদ্রা কিনেছিলেন তৃণমূল নেতা। তবে এমন কাণ্ড ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।