রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সকাল থেকে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দিঘার সমুদ্রে। সমুদ্রতটের গার্ড ওয়ালে বসে টেউ দেখতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক পর্যটক। ওল্ড দিঘার সি-হক হোটেল লাগোয়া সমুদ্র উপকূল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে নুলিয়ারা। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা ঘাটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মধ্যেই সমুদ্রে নামার চেষ্টা করেন ওই পর্যটক। টেউয়ের ধাক্কায় পাথরের উপর আছড়ে পড়েন তিনি। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে এদিন সকালে আবার দিঘা থেকে ৩০০টি কচ্ছপ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[সাতসকালে সমুদ্রতট থেকে উদ্ধার দুই পর্যটকের দেহ, চাঞ্চল্য দিঘায়]
মৃত পর্যটকের নাম চন্দন মুখোপাধ্যায়। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁচরাপাড়ায়। স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দিঘার বেড়াতে এসেছিলেন চন্দনবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলার ঘাটের কাছে গার্ডওয়ালে বসে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস দেখছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েও। গা ভেজানোর জন্য উত্তাল সমুদ্রে নামার চেষ্টা করেন চন্দনবাবু। তখনই ঘটে বিপর্যয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চন্দন মুখোপাধ্যায় যখন সমুদ্রের নামার চেষ্টা করেছিলেন, তখন একটি বড় টেউ তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। টেউয়ের ধাক্কায় সমুদ্রতটের পাথুরে জমির উপর আছড়ে পড়েন তিনি। স্ত্রীর চিৎকারে ছুটে আসেন নুলিয়ারা। কিন্তু, প্রথমে ওই পর্যটকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর সি-হক হোটেল লাগোয়া বিচে ভেসে ওঠে দেহ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। এরআগে গত সোমবার দিঘার সমুদ্রতট থেকে দু’জন পর্যটকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্নান করতে গিয়ে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
এদিকে বুধবার সকালে দিঘা থেকে ৩০০টি কচ্ছপ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন। দীর্ঘদিন ধরে দিঘার কচ্ছপ পাচার হয়ে যাচ্ছে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ৩০০টি জীবিত কচ্ছপ-সহ ওই পাচারকারীকে ধরে ফেলল পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
[বঙ্গে মারণমেঘের বজ্র সন্ত্রাস, নিজেকে বাঁচাবেন কেমন করে?]
The post সকাল থেকে দিঘার সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, মৃত্যু এক পর্যটকের appeared first on Sangbad Pratidin.
