সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: হাঙর শিকার আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় হাঙর শিকার ও পাচারচক্র বলে অভিযোগ। অবাধে চলে বেআইনি এই ব্যবসা। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে জেলা বনবিভাগের আধিকারিকদের এক বিশেষ দল বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালায় নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার বালিয়াড়ায়।
বাজেয়াপ্ত করা হয় সত্তরটি ক্রেট। প্রত্যেকটি ক্রেটেই ছিল আধা প্রক্রিয়াজাত করে রাখা ছোট-ছোট হাঙর। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে ধরা যে হাঙরগুলি পাচার করা হচ্ছিল কলকাতা-সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাজারে ও নামীদামি রেস্তোরাঁয়।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত আদৌ সম্ভব? মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের]
বেআইনি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ধৃত আকাশ দাস কাকদ্বীপের হরিপুরের ও রঞ্জিত বাগ সাগরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে বনবিভাগ। জেলা বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল জানান, “সক্রিয় থাকা হাঙরশিকার ও পাচারচক্র নির্মূল করতে লাগাতার এধরনের অভিযান চালানো হবে।” ধৃত দু’জনকেই বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।
