বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাত হলেই একের পর এক বাড়ির চালে বা ছাদে উড়ে আসছে কাটা পাথরের ঢিল। কে ছুঁড়ছে, কোথা থেকে আসছে কোনও হদিশ নেই। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের ‘ভূতুড়ে’ কাণ্ডের জেরে রীতিমতো সন্ধের পরেই আতঙ্কে ভুগছেন কোচবিহার শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড কলাবাগান সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
ঢিলের আঘাতে রাজদীপ চক্রবর্তীর নামে এক কিশোর জখম হয়েছে। পুলিশেও ঘটনার নালিশ জানানো হয়েছে। তবু থামছে না এই ঘটনা। শেষপর্যন্ত নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এলাকাবাসীরাই রীতিমতো দল বেঁধে রাত পাহারা দিচ্ছেন। কেউ মাথায় হেলমেট পরছেন কেউ আবার সতর্কতা অবলম্বন করে নজরদারি রাখছেন। তাতেও অবশ্য কাজ হচ্ছে না। একের পর এক বাড়িতে উড়ে আসছে কাটা পাথরের ঢিল। কোনও নির্দিষ্ট এলাকা নয়। কয়েকশো মিটার জুড়ে এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: ক্রীড়া ক্ষেত্রে কৃতীদের সিভিক ভলান্টিয়ার পদে চাকরি, অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের]
যদি কোনও ব্যক্তি এটা করে থাকে তাঁকে পাকড়াও করতে ওই এলাকার যুবকরা রীতিমতো ‘ক্রিমিনাল পাকড়াও’ নামে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন। সেখানে কোথায়, কখন ঢিল পড়ল তার রীতিমতো আপডেট দেওয়ার পালা চলছে। ঘটনার খবর কানে গিয়েছে পুলিশেরও। কোচবিহারের ডেপুটি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) চন্দন দাস বলেন, এই ধরনের ঘটনার কথা কানে এসেছে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্ক ছড়াতে করছে কি না সেটা খতিয়ে দেখছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা রাজু সাহা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাত হতেই একের পর এক বাড়িতে ঢিল পড়া শুরু হচ্ছে। কাটা পাথরের বড়-বড় ঢিলে কারও চালে ফুটো হয়ে যাচ্ছে, কেউ আবার আহত হচ্ছে। কোথা থেকে আসছে কীভাবে ঢিল আসছে কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ দূরে থেকে সেটা ছুটছে কি না তাকে পাকড়াও করার জন্য এলাকার যুবকরা রাতে দল বেঁধে পাহারা দিচ্ছেন। তৈরি করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। তবু থামছে না এই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ভূতুড়ে ঘটনার জেরে রীতিমতো সন্ধ্যার পর আতঙ্কে থাকছেন।
