রাজা দাস, বালুরঘাট: পিচ, সিমেন্ট,কংক্রিট দূর-অস্ত, নেই মাটির রাস্তাও। জমির মাঝখানে থাকা দেড় ফুটের আলপথই ভরসা গ্রামবাসীদের। দীর্ঘদিন এভাবেই দিনযাপন করে ক্ষোভে ফুঁসছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের কেশবপুরের মানুষ। তাঁদের একটাই দাবি, দ্রুত চাই রাস্তা।
[আরও পড়ুন: তিনজন দুঃস্থ পড়ুয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন জঙ্গিপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ]
জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশবপুর গ্রাম। প্রধান সড়ক থেকে এই গ্রামের দূরত্ব প্রায় দু’কিলোমিটার। সেই গ্রামে প্রায় ৯০০ মানুষের বাস। গ্রামে যাওয়ার একমাত্র পথ জমির দেড় ফুটের আল। চাষের কাজে প্রয়োজনীয় জল আটকাতে দেওয়া সামান্য দেড় ফুটের আলই গ্রামবাসীদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। অভিযোগ, বাম তো নয়ই, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতও এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন আইসি, ফেসবুক লাইভে অভিযোগ বিজেপি যুব নেতার]
গ্রামের বাসিন্দা রেজিনা খাতুন বলেন, বছরে চারমাসই বাড়ি থেকে বেরোনো তাঁদের কাছে আতঙ্কের মতো। গাড়ি, বাইক প্রবেশের তো প্রশ্নই নেই। রাস্তার সমস্যার কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। বামেদের উপর আস্থা হারিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পঞ্চায়েত রাস্তা করে দিলে প্রয়োজনীয় জমি দিতেও রাজি তাঁরা। সে কথা বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও অজানা কারণে আজও গ্রামে প্রবেশের রাস্তা তৈরি হয়নি। কুমারগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা তথা বিজেপি ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ‘শাসক দলের মুখ নেই। তাই এই গ্রাম প্রচারে আসে না।’ স্থানীয় নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞা জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাহলে আদৌ কি এতদিনের দাবি পূরণ করে রাস্তা তৈরি হবে? মিটবে দীর্ঘদিনের এই সমস্যা? সে দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
The post জমির আলই যাতায়াতের একমাত্র উপায়, ক্ষোভ বাড়ছে কেশবপুরে appeared first on Sangbad Pratidin.
