সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভোটাভুটি, ফলপ্রকাশের পর পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনেও জেলায় জেলায় অশান্তি। বাসন্তীতে ঝরল রক্ত। পথ অবরোধ-বিক্ষোভে রণক্ষেত্র উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। অশান্তির সাক্ষী বালুরঘাটও।
বুধবার বোর্ড গঠন নিয়ে বৈঠকে পর বাসন্তীতে বিদায়ী প্রধানকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় আরএসপি। পালটা অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও আরএসপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বাসন্তীর পাশাপাশি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের মোস্তাফানগরেও। গ্রামপঞ্চায়েত গঠন নিয়ে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। পথ অবরোধও করে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে বাধা দিতে অশান্তি করেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় দু'জন তৃণমূল কর্মী জখম হন। তাঁরা ভরতি হাসপাতালে। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এছাড়া ধনকৈলে বোর্ড গঠনের আগে মহিলা-সহ বিজেপির জয়ী চার প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও ওঠে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থীর ছেলেকে কুপিয়ে ‘খুন’, রণক্ষেত্র খড়গ্রাম]
গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড দখল ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মালদহের চাঁচল। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় শাসক শিবিরের একাংশ। সেখানেই দু'পক্ষ হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। আক্রান্ত বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গণেশ সরকার। তাঁর দু'টি পা ভেঙে গিয়েছে। ওই বিজেপি নেতা বর্তমানে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭টি আসন। সেখানে তৃণমূল ১৩, বিজেপি ১৩ এবং কংগ্রেস ১টি আসন পেয়েছে। ওই পঞ্চায়েতে এদিন ভোটাভুটি পর্ব ছিল। যাকে কেন্দ্র করেই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে বিবাদ থেকে সংঘর্ষ বাঁধে।
বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, "গোপনে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে একজনই একাধিক ভোট দিতে থাকে। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেন বাকি সদস্যরা। স্থানীয় নেতা গণেশ সরকার আইসিকে ফোন করেন। তিনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসতেই তাঁকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে মাটিতে ফেলে। একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি পায়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়েছে তারা।" তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, "আমাদের কেউ মারধরের ঘটনায় জড়িত নন।"
দেখুন ভিডিও:
