সুমন করাতি, হুগলি: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার গ্রহণ না করাকে কেন্দ্র করে চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সাংসদের দাবি, রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা বাড়াতেই এহেন কাজ করছেন সি ভি আনন্দ বোস।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Vote 2023) প্রচারে হুগলি জেলার আরামবাগে যান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আরামবাগের বতানল ও মলয়পুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার সারেন। সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন সৌগত রায় স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন। এরপর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিটিং ও জনসাভা করেন। সেখান থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, রাজ্যপাল যেটা করছেন সেটা ঠিক করছেন না। রাজ্যপালের যা ক্ষমতা উনি তার বাইরে চলে যাচ্ছেন। আর রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলতে এসব করছেন। সৌগতর কথায়, “সংবিধান বলে রাজ্য সরকারের সুপারিশে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হয়। আর সেটা হয়েছে। কিন্তু এখন রাজ্যপাল সেটা আবার ফেরত পাঠাচ্ছেন। এটা ঠিক না।”
[আরও পড়ুন: জেলা পরিষদে ‘গোঁজ’ স্ত্রী, যুব সভাপতির প্রার্থীপদ খারিজ করে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল]
বিরোধীদেরও নিশানা করলেন সৌগত রায়। বললেন, “বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে ভোটে তারা পেরে উঠবে না। তাই শুধু কোর্টে লড়াই চালাচ্ছে। আরামবাগে বিজেপির বিধায়করা কোনও উন্নয়ন করেননি। উন্নয়ন করেছে তৃণমূল সরকার। মানুষ রাজ্যের উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দেবে।” গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “গণতান্ত্রিক দলে অনেকের মতের মিল নাই হতে পারে। কিন্তু দল যাকে প্রতীক দেবে সেই দলের প্রার্থী। আর সেই ভোটে জিতবে।”
