কল্যাণ চন্দ, লালবাগ: চাঁদা দেননি, তাই অঞ্জলিতেও অধিকার নেই! স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনই দাবির পর পুজো মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে গিয়ে কার্যত বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক মহিলা। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমন নৃশংস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। মৃতের পরিবারের দাবি, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে।
ঘটনা সোমবারের। মুর্শিদাবাদ থানার লালবাগের (Lalbag) কাটিগঙ্গা সংলগ্ন সন্ন্যাসীডাঙার একটি পুজো মণ্ডপে অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকাতেই রক্ষাকালী পুজো কমিটির উদ্যোগে দুর্গাপুজো (Durga Puja) হয়। সেই পুজোতেই অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দিতে এসেছিলেন সুচিত্রা মণ্ডল নামে এক মহিলা। সেই সময় তাঁর কয়েকজন প্রতিবেশী মন্দিরে আসেন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, সুচিত্রাদেবী চাঁদা দেননি। চাঁদা না দিয়ে কেন মন্দিরে অঞ্জলি দিতে এসেছেন, এই প্রশ্ন তোলা হয়।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মাঝেই সুখবর! দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল দু’হাজারের নিচে]
সেই নিয়ে প্রথমে বচসা বাঁধে, পরে হাতাহাতি শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, সেই সময় সুচিত্রা মণ্ডলের আত্মীয়কে মারধর করা হয়। তিনি বাধা দেন। গন্ডগোলের সময় ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটে সুচিত্রা দেবীর। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু (Death) হয় তাঁর। ওই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
[আরও পড়ুন: শাহর কাশ্মীর সফরের আগেই গলা কেটে খুন উচ্চপদস্থ অফিসারকে, দায়স্বীকার লস্করের শাখার]
মুর্শিদাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্য রাসমণি মণ্ডলের দাবি, সুচিত্রাদেবীর ওই আত্মীয়ের কোনও দোষ ছিল না, অন্যায়ভাবে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ খোয়াতে হল সুচিত্রা মণ্ডলকে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চান তিনি। অন্যদিকে বাসুদেব মণ্ডলের বক্তব্য, তাঁর বউদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। কয়েকজনকে মারধরের ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর সাজার দাবি তুলেছেন তিনি।