বাবলু হক, মালদহ: পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের শিকার এক বধূ। প্রতিবাদ করায় বধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বাপের বাড়ির লোকেরা। দুপক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বধূর কাকার। আহত দুপক্ষের মোট ৪ জন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদহ থানার পুলিশ।
[রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত ১ ]
সূত্রের খবর, বছর আটেক আগে পুরাতন মালদহের রসিলাদহ কোর্ট স্টেশন এলাকার বাসিন্দা আমিরুল শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই এলাকারই বাসিন্দা মামিনা বিবির। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। বধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য বধূর উপর চাপ দিত আমিরুল। তাতে কাজ না হওয়ায় স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে আমিরুল ও তার পরিবার। অভিযোগ, শনিবার রাতেও স্ত্রীকে টাকা নিয়ে আসার কথা বলে বধূর স্বামী। অভিযোগ, রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করতে শুরু করে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা।
[বিজেপির বাইক মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে অশান্তি]
জানা গিয়েছে, মামিনা বিবিকে মারধরের খবর পেয়ে তার বাপের বাড়ির লোকেরা ছুটে যায়। সেখানে এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অশান্তি চরমে উঠলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষই। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হন মোট ৫ জন। পরে প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ৪ জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত হয়। বধূর কাকা আমিরুল ইসলামকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আমিরুল ইসলামের। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদহ থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
The post পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ, দুপক্ষের সংঘর্ষে মৃত ১ appeared first on Sangbad Pratidin.
