রাজা দাস, বালুরঘাট: স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর একদিন পরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী যুবক। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আত্মঘাতী যুবক উত্তম সরকারের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বোর্ডডাঙ্গি এলাকায় শোরগোল। অপমানেই কি আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক, উঠছে প্রশ্ন।
সোমবার নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় মাছ ব্যবসায়ীর দেহ। বোর্ডডাঙ্গির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী যুবক উত্তম সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রিয়া হালদারের (২০)। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে রিয়ার উপর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত।
[আরও পড়ুন: ‘গদর ২’র শো চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান! পড়ল বেধড়ক মার]
শনিবার বোর্ডডাঙি থেকে একটি ফোন আসে রিয়ার বাবার কাছে। রিয়া হাসপাতালে ভরতি বলে জানানো হয়। কিন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় রিয়ার মৃতদেহ। দেখা নেই স্বামী উত্তম সরকার-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। গা ঢাকা দেওয়া অভিযুক্তদের খোঁজ করছিল পুলিশ। তার মধ্যেই সোমবার ওই এলাকায় মৃত গৃহবধূর স্বামী উত্তমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
