সুপর্ণা মজুমদার: প্রতীক্ষার অবসান। চারহাত এক হল টেলিভিশনের হার্টথ্রব নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya) এবং তৃণা সাহার (Trina Saha)। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের উপস্থিতিতেই মালাবদল করলেন দু’জনে। বাঁধা পড়লেন সাত পাকে।
এদিন সকাল থেকেই কৃষ্ণকলি’র নিখিল মানে নীল এবং ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের গুনগুন অর্থাৎ তৃণার বিয়ে নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। সন্ধেবেলা বিয়ের অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আশীর্বাদ করেন কনেকে। এরপর প্রত্যেকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। বিয়ের আসরে বর-কনে ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, “এত বছর ধরে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমরা যে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছি, সেখানেও আপনারাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।” তবে এদিন বিয়ে হলেও রিসেপশন হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে।
[আরও পড়ুন: আবিষ্কার নয়, বাস্তবকে উপলব্ধি করায় সায়ক নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘আত্মজন’]
এর আগে গত বছর অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিয়ের ঠিক পরপরই নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন নীল এবং ‘তৃণা। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি আপলোড করেছেন দুই তারকা। কিছুদিন আগে কাপল ফটোশুট সেরেছিলেন। আবার কৃষ্ণকলির সেটে পেটপুরে আইবুড়ো ভাতও খেয়েছেন নীল। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি সারেন বাগদান পর্ব।
এর আগের সাক্ষাৎকারে দুই তারকা জানিয়েছিলেন, অভিনয় জীবনে আসার অনেক আগে থেকেই তাঁদের পরিচয়। ২০১১ সালে MBA পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় CAT ক্লাসে প্রথম দেখা। সেই মুহূর্তেই তৃণাকে ভাল লেগে গিয়েছিল নীলের। ২০১১ সালেই প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন দু’জনে। সেখানেই রয়েছে প্রথম চুম্বনের স্মৃতিও। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রেমের এই প্রেম পর্যায় চলেছিল। তারপর পড়াশোনার জন্য দিল্লি চলে যান তৃণা। নীল থেকে যান কলকাতায়।
[আরও পড়ুন: ‘মিস কল’ দিয়েই জমে উঠেছে সোহম-ঋত্বিকার প্রেম, দেখুন ছবি]
পরে ২০১৫ সালে তৃণার ফেরার পর আবার বন্ধুত্ব শুরু হয়। ২০১৬ সালের ৮ জুন তৃণা বুঝতে পারেন নীল তাঁর কাছে বন্ধুর চেয়েও বেশি। তখনই প্রপোজ করেন। কিন্তু তখন নীল কিছু বলেননি। ঠিক একবছর পর ২০১৭ সালের ২১ জুন বন্ধুদের সামনে তৃণাকে প্রপোজ করেন নীল। তারপর থাইল্যান্ডে একসঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন দু’জনে। ভিডিও কলে আচমকা তৃণাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নীল। তারপরই শুরু হয় তাঁদের বিয়ের তোড়জোড়। যা এদিন পরিণতি পেল।