সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি প্রতিটি স্কুলে দুপুরের খাবারে ডিম দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। তবুও মিড-ডে মিলের খাবারে দেওয়া হয়নি ডিম। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। তাতেই তাকে ঝাঁটা দিয়ে মারার অভিযোগ রাঁধুনির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামজিক মাধ্যমে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন)। শোরগোল এলাকায়।
ঘটনাটি কেরলের একটি স্কুলের। সরকারের নতুন প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি স্কুলের বাচ্চারা ডিম পাচ্ছে। কিন্তু কেরলের তিরুভান্নামালাই জেলার পোলুরের একটি সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ডিম না দেওয়ার অভিযোগ উঠে। রাঁধুনির কাছে সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। তখনই অভিযুক্ত রাঁধুনি লক্ষ্মী তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গ দেন সহকারী রাঁধুনী মুনিয়াম্মাল। চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়া সেই ঘটনার ভিডিও করে। পরে যা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই লক্ষ্মী ও মুনিয়াম্মালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের সাসপেন্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে সমাজকল্যাণ দপ্তর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২ এপ্রিল পঞ্চম শ্রেণির ১০ বছর বয়সী এক ছাত্র লক্ষ্মীকে জিজ্ঞাসা করে তাকে দুপুরের খাবারের ডিম দেওয়া হয়নি কেন। রাঁধুনি এবং সহকারী রাঁধুনি দাবি করেন যে, ৪৩টি ডিমসিদ্ধ করা হয়। তার মধ্যে তিনটি ডিম খোসা ছাড়ানোর সময় ভেঙে গিয়েছে। তাই দেওয়া যায়নি। সমাজকল্যাণ দপ্তরের কমিশনার আর লিলি বলেন, "অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন ডিম দেওয়া হচ্ছিল না, তা দেখা হচ্ছে। আমাদের তদন্ত চলছে।"