সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিথ্যে বলার অপরাধে নাবালক ছেলেকে বেধড়ক মারধর করছেন বাবা। মোবাইল সারাই কর্মীর সৌজন্যে ভাইরাল হয়ে গেল এই নিষ্ঠুর ভিডিও। শনিবার বৈদ্যুতিন মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মহেন্দ্র(৩২)। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। আক্রান্ত শিশুটি শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।
[নমাজে নেতৃত্ব দিয়ে হুমকির মুখে দেশের প্রথম মহিলা ইমাম]
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মাস পাঁচেক আগের। মিথ্যে বলার অপরাধে মহেন্দ্রর কাছে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মা শিল্পা। এরপরই ছেলেকে মারতে উদ্যত হন মহেন্দ্র। মারধরের গোটা ঘটনাই লেন্সবন্দি করেন শিল্পা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে মোবাইল ফোনের চার্জার দিয়ে বাচ্চাটিকে মারধর করা হচ্ছে। আচমকাই চার্জার ফেলে তাকে বিছানা থেকে মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হল। একবার নয়, বারবার এমনটা ঘটতে থাকে। মারতে মারতেই মহেন্দ্র বলতে থাকেন, আর মিথ্যে বলবি? পাশ থেকে মহিলাকণ্ঠে ভেসে আসে, ও ফের মিথ্যে বলবে। সঙ্গে সঙ্গে আবার মেঝেতে আছড়ে ফেলা হয় বাচ্চাটিকে। একটা সময় ছেলেকে মেঝেতে ফেলে লাথি মারতে শুরু করেন মহেন্দ্র। এই সময় শিল্পাকে বলতে শোনা যায়, অনেক হয়েছে এবার বন্ধ করো। পাঁচমাস আগে ঘটনাটি ঘটলেও অত্যাচারের কাহিনি প্রকাশ্যে আসেনি। কয়েকদিন আগে শিল্পার মোবাইল ফোনটি খারাপ হয়ে যায়। সারাইকর্মীর কাছে ফোনটিকে রেখে আসেন শিল্পা। ফোনের মেমরিতে থাকা ছবি ও ভিডিওর ব্যাকআপ সরিয়ে রাখারও অনুরোধ করেন। সেইমতো মোবাইল সারাইয়ের আগে ভিডিও ও ছবি আলাদা করে রাখছিলেন সারাইকর্মী। তখনই নিষ্ঠুর ভিডিওটি তাঁর চোখে পড়ে যায়। শিশুটির উপরে নির্দয় অত্যাচার হতে দেখে চুপ থাকতে পারেননি ওই কর্মী। স্থানীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেন। পুলিশকেও জানানো হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে শহরের সমাজকর্মীদের খবর দেয় পুলিশ। এরপর সমাজকর্মীরাই শিশুটিকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। শিশুটি ভালো আছে। সমাজকর্মীদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই শিশুটির বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির, ৮২, ৫০৬ ও ৩২৩ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
[পদ্মশ্রী নিতে অস্বীকার, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি সন্ন্যাসীর]
The post মিথ্যে বলার অপরাধে নাবালক ছেলেকে লাথি বাবার, ভাইরাল ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.