সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে বিয়ের পরদিনই শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন তরুণী। মাস খানেক বাদে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন। মামলা গড়ায় কর্ণাটক হাই কোর্টে (Karnataka High Court)। যদিও তরুণীর অভিযোগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। এইসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা “আইনের অপব্যবহারের আদর্শ উদাহরণ”।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন যুগল। উভয়েই বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) একটি এমএনসি মোটরবাইক শোরুমে কাজ করতেন। গত ২৭ জানুয়ারি তাঁরা একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। পরে আইনি প্রক্রিয়াও সারা হয়। একই দিনে ছিল তরুণীর জন্মদিন। তাও হইচই করে পালন করা হয়। যুবকের অভিযোগ, সেদিনই স্ত্রীর প্রাক্তন প্রেমিকের কথা জানতে পারেন। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে বুঝতে পারেন, এখনও প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তরুণীর। এর জেরেই যুগলের মধ্যে চরম অশান্তি শুরু হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান তরুণী।
[আরও পড়ুন: ৩ শিশু সন্তান-সহ স্ত্রী ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে খুন, কর্ণাটক হাই কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যুবকের]
মাস খানেক বাদে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশি অভিযোগে তরুণী দাবি করেন, বিয়ের দিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন তিনি। ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে কোনও কাগজে স্বাক্ষর করার কথাও তাঁর মনে নেই। এইসঙ্গে জানান, পুরনো সম্পর্কের কথা জেনে অকথ্য অত্যাচার করেন স্বামী। বিবাহিত হলেও অশান্তি ও নির্যাতনের প্রেক্ষিতে শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলেই উল্লেখ করেন অভিযোগকারী যুবতী। এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাই কোর্টে মামলা করেন যুবক এবং তাঁর পরিবার।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানায় জোট ভাঙছে বিজেপির? শরিকি অশান্তিতে মহারাষ্ট্রেও চাপে গেরুয়া শিবির]
এই মামলার শুনানিতেই হাই কোর্ট বলে, “মামলাকারী যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন। চার বছর সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা বিয়ে করেন। কয়েকদিন একসঙ্গে থাকার পরেই ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তরুণী। এমনকী যুবকের পরিবারের সদস্যদেরও অপরাধের জালে টানা আনা হয়েছে।” কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে আরও
বলা হয়, “আইনের অপব্যবহারের এর চেয়ে আদর্শ উদাহরণ কিছু হতে পারে না।” এইসঙ্গে তরুণীর অভিযোগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।