সুলয়া সিংহ: শিল্পের ব্যপ্তি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। শিল্প একাধারে যেমন হয়ে উঠতে পারে ভালোবাসার প্রতিফলন, তেমনই কখনও তা হয় বিল্পবের প্রতিরূপ। শিল্প ঘুমন্ত মননে কখনও জোর ধাক্কা দেয় আবার কখনও জিয়নকাঠির স্পর্শ লাগে সুপ্ত ভাবনায়। সেই শিল্পের নানা ধারারই এবার সাক্ষী থাকতে চলেছে শহর কলকাতা। প্রথমবার তিলোত্তমার বুকে শিল্পের লাইভ পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ পাবেন আপনি।
শিল্পমনস্করা নিশ্চিতভাবেই শুনেছেন কোচি বিয়েনালের কথা। শিল্পীর সৃষ্টিতে সেজে ওঠে গোটা শহর। তবে শুধুই তা চোখের আরাম নয়, সে শিল্প বর্তমান সমাজের বিভিন্ন দিক, জাতিগত সমস্যা, ধর্মীয় আঁকচা-আঁকচি থেকে ক্ষুধার্থের যন্ত্রণার মতো বিষয়গুলি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। খানিকটা সেই ধাঁচেই এবার কলকাতাতেও আয়োজিত হচ্ছে শিল্পের এক অনন্য প্রদর্শনী। যার পোশাকি নাম বিয়ন্ড দ্য এজ।
[আরও পড়ুন: IPL-এ ফের ধোনি ধামাকা, প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন মাহি, দেখুন ভিডিও]
আমাদের আশপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নানা বিষয়। যা নিয়ে আমরা হয়তো ভাবতে ভুলে যাই, কিংবা আমাদের চিন্তাধারায় বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। মস্তিষ্ক থেকে জোর করে মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয় নানা ইস্যু। আর ক্ষমতায় আসিনরা নিজেদের অঙ্গুলিহেলনে যেন বলে দিতে চায়, ‘এটা নয়, ওটা ভাবো।’ তারই প্রতিবাদে গর্জে উঠবে শিল্প। ভুলে গেলে চলবে না ধ্বংসের ইতিহাস, যুদ্ধের কলঙ্কিত অধ্যায়। চিনতে হবে নিজেদের শিকড়কে। উত্থানের ভিত যেন অজানা না হয়। এটাই প্রথমবারের কনসেপ্ট। আর মানব মননে সেই ভাবনা নতুন করে জাগিয়ে তুলবে দেশের নামী-দামি শিল্পীদের সৃজন। দীর্ঘ গবেষণার প্রতিফলন ঘটবে বিয়ন্ড দ্য এজ-এ।
বিনায়ক ভট্টাচার্য, শর্মিলা সামন্ত, পুষ্পমালা এম, জয়রাজ ভট্টাচার্য, শ্রাবন্তী ভট্টাচার্য, সৈকত সুরাই, রাম রহমান, মধুজা মুখোপাধ্যায়ের মতো দেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা এই শিল্প যজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি শহরের ইতিকথা শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে দীর্ঘ গবেষণা করছেন ইতিহাসবিদ নির্বেদ রায় এবং পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুরি। কখনও কুঁদঘাট মেট্রো স্টেশনে হবে লাইভ পারফরম্যান্স তো কখনও উত্তম মঞ্চে প্রদর্শিত হবে বিশেষ শো। ১১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বিয়ন্ড দ্য এজ। নিঃসন্দেহে এ অভিজ্ঞতা আপনাকেও ভাবনার রশদ জোগাবে।