সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনিয়র ও সহকর্মীদের হেনস্তার জেরে আত্মঘাতী হলেন ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (BHEL)-এর এক মহিলা আধিকারিক। ৩৩ বছরের ওই যুবতী সংস্থার অ্যাকাউন্টস বিভাগে কাজ করতেন। উর্দ্ধতন আধিকারিক ও তাঁর ছয় সহকর্মী তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা করেছিলেন। এর জেরে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে।
[আরও পড়ুন: অসমে ভয়াবহ নৌকাডুবি, নিখোঁজ প্রায় ৮০ জন]
জানা গিয়েছে, আদতে ভোপালের বাসিন্দা ওই যুবতী স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হায়দরাবাদের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজের ঘরের দরজা আচমকা বন্ধ করে দেন তিনি। এরপর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। যদিও ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে BHEL-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(অর্থ)-সহ আরও সাতজনের নাম উল্লেখ করে ওই যুবতী অভিযোগ করেছেন, ওই সাতজনের জন্যই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ওই সুইসাইড নোটের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত সাতজনের নামে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্বামী। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন:‘ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নতুন করে ইতিহাস লিখুন’, ঐতিহাসিকদের পরামর্শ অমিত শাহর]
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক ভেঙ্কটেশ শামলা জানান, মৃতের স্বামী BHEL-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অর্থ)-সহ আরও সাতজনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের হেনস্তার জেরের ওই যুবতী আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদেহের পাশ থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে ওই যুবতী অনেক অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে তাঁর মোবাইল ফোন হ্যাক ও ট্র্যাপ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলার অভিযোগও রয়েছে। তিনি যখন ভোপালে পোস্টিং ছিলেন তখন অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন অশ্লীল ইঙ্গিত করেন বলেও জানা গিয়েছে।