shono
Advertisement

অভ্যুত্থানের জের, মায়ানমারের সেনাকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা আমেরিকার

বন্দি জনপ্রিয় নেত্রী আং সাং সু কি ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীরা।
Posted: 10:14 AM Feb 11, 2021Updated: 10:14 AM Feb 11, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে সামরিক বুটের তলায় পিষ্ট গণতন্ত্র। জনতার সরকার উপড়ে ফেলে মসনদে বসেছে সেনাবাহিনী। বন্দি জনপ্রিয় নেত্রী আং সাং সু কি ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীরা। সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনীর উপর চাপ সৃষ্টি করে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার কথা ঘোষণা করল আমেরিকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে আলাপ বাইডেনের, চিনকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা]

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়েছেন, মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে চলেছে তাঁর প্রশাসন। পাশাপাশি, গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্যও সামরিক জুন্টাকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ‘টাটমাডাও’ বা বার্মিজ সেনার একাধিক কর্তা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। এর ফলে আমেরিকায় তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। একইসঙ্গে, মায়ানমারে স্বাস্থ্য ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরঞ্জাম ছাড়া অন্য পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করতে পারে ওয়াশিংটন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা বার্মিজ সেনকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে খবর। এই বিষয়ে বাইডেন বলেন, “আমি বার্মিজ সেনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন দ্রুত সু কি-সহ সকল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নেতাদের দ্রুত মুক্তি দেয়।”

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ মায়ানমারের (Myanmar) দখল নেয় সর্বশক্তিমান ‘জুন্টা’। সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি হন নোবেলজয়ী রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট-সহ অনেকেই। সেনা জানায়, আপাতত এক বছরের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে তারা। অভ্যুত্থানের পক্ষে সেনাবাহিনীর যুক্তি, বিগত নির্বাচনে বিস্তর কারচুপি হয়েছে। তাই করোনা আবহে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। বলে রাখা ভাল, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছে আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের।

[আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে আলাপ বাইডেনের, চিনকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement