সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনকে উসকে রাশিয়ায় 'ছদ্মবেশে' আক্রমণ করছে আমেরিকাই! আর এই হামলা চালাতে নাকি মার্কিন অস্ত্রই ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। দুবছর পেরিয়ে গেলেও থামছে না দুদেশের যুদ্ধ। গত কয়েকমাসে ইউক্রেনের আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। যার মোকাবিলা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কিয়েভকে। রাশিয়ার উপর চাপ নতুন রণকৌশল নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা করে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৈঠক চলছে আমেরিকার সঙ্গেও।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়াকে জব্দ করতে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছিল আমেরিকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নীতি বদলে আরও আগ্রাসী পন্থা নেয় মার্কিন প্রশাসন। আক্রমণ আরও তীব্র করতে জেলেনস্কি বাহিনীকে দূরপাল্লার মিসাইল দেয় হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি এনিয়েই সংবাদমাধ্যমে আলোচনা করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন আধিকারিক। তাঁর দাবি, "বাইডেনের নির্দেশে রাশিয়ার অন্দরে ইউক্রেনকে আক্রমণ শানানোর অনুমতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।"
[আরও পড়ুন: ‘দেশপ্রেমিকরা জাগুন, আর্থিক সাহায্য করুন’, সমর্থকদের কাছে হাত পাতলেন ট্রাম্প]
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক আরও চরমে উঠেছে ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে। কিয়েভকে অত্যাধুনিক হাতিয়ার দিয়ে ওয়াশিংটনের সাহায্য করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ক্রমাগত হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছেন, ইউক্রেনকে সাহায্য করলে ফল ভুগতে হবে আমেরিকা-সহ পশ্চিমা বিশ্বকে। কিন্তু তাতে কোনও পরোয়ানা নেই বাইডেনের। ইউক্রেনকে ঢাল করে আমেরিকার শক্তি প্রদর্শন করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে খারকভ দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু রণক্ষেত্রে পালটা মার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই শহর পুনরুদ্ধার করে নিয়েছিল ইউক্রেনীয় ফৌজ। তবে এবার হারানো জমি ফের দখল করতে খারকভে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রুশবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে প্রবল চাপের মুখে সীমান্তের বেশ কিছু গ্রাম থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে 'বন্ধু'দেশের জন্য ফের বড় অঙ্কের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে আমেরিকা।