shono
Advertisement

একযোগে কাজ করতে চেয়ে হাসিনাকে চিঠি, সংঘাত ভুলে কেন সুর নরম বাইডেনের?

আমেরিকার এই পদক্ষেপে চাপ বাড়বে বিএনপির?
Posted: 02:48 PM Feb 05, 2024Updated: 09:12 PM Feb 05, 2024

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঢাকার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকা। ভোটপ্রক্রিয়া অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে ক্রমাগত তোপ দেগে গিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার সমস্ত অভিযোগের পালটা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে হাসিনাকে চিঠি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

Advertisement

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাইডেনের চিঠি তুলে দেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেনের হাতে। অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আগ্রহ ও দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে পাশে থাকার আগ্রহ দেখিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর চিঠিতে লিখেছেন,‘বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে সমর্থন করে আমেরিকা। মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশের একযোগে পরবর্তী অধ্যায় শুরু করার এটাই সময়।’

[আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে টানাটানি! ঐতিহ্যের শাড়িকে GI তকমার দাবি ভারতের, প্রতিবাদ বাংলাদেশে]

বাইডেন আরও লিখেছেন, ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমেরিকা আন্তরিকভাবে ইচ্ছুক। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং শক্তি, বিশ্বস্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং অন্য বিষয়েও সহযোগিতা চালিয়ে যেতে আমার বিশেষভাবে আগ্রহী।’ আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্কে উন্নতির ঘটানোর জন্য বাইডেন ইচ্ছাপ্রকাশ করে লিখেছেন,‘দুদেশের সমস্যার সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার একটি দীর্ঘ এবং সফল ইতিহাস রয়েছে। আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কই আমেরিকা-বাংলাদেশের এই সম্পর্কের ভিত্তি।’

উল্লেখ্য, নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকার। বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল লাগাতার। সেই বিষয়ে মুখ খোলে আমেরিকাও। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ওয়াশিংটন কড়া হুমকি দিয়েছিল, হিংসায় অভিযুক্তদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। ওয়াশিংটনের এই ভিসা নীতিকেই আওয়ামি সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিল বিএনপি। বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার এই পদক্ষেপে চাপে পড়তে পারে খালেদা জিয়ার দল। কারণ গত ৭ অক্টোবরের নির্বাচনের আগে থেকে একাধিকবার মার্কিন প্রশাসনের কাছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছে বিএনপি। ফলে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হলে সমর্থন কমে যাবে তাদের।      

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement