সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এগারো দিনে পা রেখেছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস বনাম ইজরায়েলের লড়াই। এই সংঘর্ষে রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজারের উপর মানুষ। গাজায় ঢুকে হামাসের ডেরা ধ্বংস করে একে একে সন্ত্রাসীদের নিকেশ করছে ইহুদি দেশটির সেনা। যুদ্ধ ঘোষণার শুরু থেকে ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে থাকা বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। এই মুহূর্তে তেল আভিভে রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন বুধবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তেল আভিভে (Tel Aviv) ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, বুধবার ইজরায়েল সফরে আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খতিয়ে দেখবেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। হামাস হামলার বিরুদ্ধে যে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে সেই বিষয়ে বৈঠক করবেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মুহুর্মুহু রকেট ও ড্রোন হামলা রাশিয়ার, দেড় বছর ডিঙিয়েও অব্যাহত যুদ্ধের ঝাঁজ]
উল্লেখ্য, ইজরায়েলের বুকে সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বেনজির হামলার পর গাজায় আক্রমণ করেছে ইহুদি দেশটির সেনা। প্রাণ হারিয়েছেন গাজা ভূখণ্ডের হাজারের উপর মানুষ। পূর্ণ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দক্ষিণ গাজায় বাসিন্দাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের এই হামলার ছক নিয়ে কিছুটা বিরোধী সুরই শোনা গিয়েছিল বাইডেনের (Joe Biden) গলায়।
রবিবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ”বড় ভুল হবে।” সেইসঙ্গে বললেন, “হামাস বাহিনী কট্টরপন্থী, কিন্তু সমস্ত প্যালেস্তিনীয়ের পরিচয় হামাস নয়। তা মনে রাখতে হবে।” ফলে আগামিকাল তেল আভিভ থেকে বাইডেন কী বার্তা দেন সেদিকে নজর রয়েছে কূটনৈতিক মহলের। তবে যুদ্ধ আবহে ‘বন্ধু’ইজরায়েলের পাশেই রয়েছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই ইহুদিভূমে পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন রণতরী ও যুদ্ধবিমান।