স্টাফ রিপোর্টার, বারাকপুর: কামারহাটি মিউনিসিপ্যালিটি (Kamarhati Municipality) এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল শাসকদল তৃণমূল (TMC)। শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের ১২ জন প্রাথীই নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। যদিও, বিরোধীরা এদিনের ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে তাদের প্রার্থীদের মারধর করার অভিযোগ তোলে। সিপিএমের (CPM) প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় এবং সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে, তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরকর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণের রাশ কার হাতে থাকবে তা এই সমবায়ের ভোটেই অনেকটাই নির্ভর করে। প্রায় ৫০০ জন পুরসভার কর্মী ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেন। ১২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শাসক এবং বিরোধী দল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। এদিনের ভোটে সিপিএম এবং কংগ্রেস (Congress) সমর্থিত প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কামারহাটির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয়ে গেলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, এই রাজ্যগুলিতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক]
মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই কো-অপারেটিভ ফান্ডে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আছে। সেই টাকা লুঠ করার জন্যই পরিকল্পনা করে গন্ডগোল করা হয়েছে। প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। যাঁরা ভোট দিতে এসেছেন, তাঁদের ভয় দেখানো হয়।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘সমবায়ের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বলে কিছু হয় না। সবাই পুরসভার কর্মী। মারধর এবং ভোট লুঠের অভিযোগ মিথ্যা। মানস মুখোপাধ্যায় পুরকর্মী নন। তাই তিনি ভিতরে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিয়েছেন।’’