নন্দন দত্ত, সিউড়ি: করোনার জেরে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক দিতে হয়নি। তাই উচ্চ মাধ্যমিকই (HS Exam) তার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই উচ্চ মাধ্যমিকের শুরুতেই ঘাবড়ে গিয়ে বিপদ ঘটাল বীরভূমের দুবরাজপুরের এক ছাত্রী। পরীক্ষা শুরুর দিনই পরীক্ষা দিতে নির্দিষ্ট কেন্দ্র না গিয়ে পৌঁছে গেলেন নিজের স্কুলে। তখন পরীক্ষা শুরু হতে আর কিছুক্ষণ বাকি। এই সময় ওই ছাত্রীর ত্রাতা হয়ে উঠলেন এক পুলিশ কর্মী।
জীবনে প্রথম বোর্ডের পরীক্ষা দিচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রীরা। কারণ, গতবার করোনার জেরে পরীক্ষায় (পড়ুন মাধ্যমিক) বসতে হয়নি তাদের। এবার নিয়ম মেনেই অন্য স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। কিন্তু এবার দুবরাজপুরের শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দিরের ফর গার্লস স্কুলের এক ছাত্রী নিজের স্কুলেই পরীক্ষা দিতে হাজির হয়ে যায়। কিন্তু আদতে তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে এক কিলোমিটার দূরে দুবরাজপুর গার্লসে।
[আরও পড়ুন: হাতে হলুদ ফাইল, সময়ের আগেই ইডি দপ্তরে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত]
শিলিগুড়িতেও ত্রাতা হয়ে পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াল কর্তব্যরত পুলিশকর্মী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনই ভুল করে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় দুই পরীক্ষার্থী। প্রথমে বিষয়টি আঁচ করতে না পারলেও সিট নম্বর খুঁজে না পাওয়ায় অবশ্য টের পান ভুলবশত অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে তারা। দিশেহারা হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে। সেসময় ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী। পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে ওই দুই পরীক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন তিনি। পুলিশের এহেন ভূমিকায় একদিকে দুই পরীক্ষার্থী যেমন গুনমুগ্ধ তেমনই কুর্নিশ জানিয়েছে শহরবাসীও।