সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরসা মুন্ডার আবক্ষ মূর্তি বা প্রতিকৃতিতে এবার থেকে এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আর হাতকড়া পরা অবস্থায় দেখা যাবে না৷ আদিবাসী এই স্বাধীনতা সংগ্রামী যুগের পর যুগ ধরে সারাদেশের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে একজন ‘আইকন’৷ ঝাড়খন্ডে এবার থেকে হাতকড়াপরা অবস্থায় তাঁর কোনও মূর্তি বা প্রতিকৃতি দেখা যাবে না৷ বিদ্রোহী এই নেতার যে সমস্ত প্রতিকৃতি এই মুহূর্তে দেখা যায়, তাতে তিনি হাতকড়া পরে আছেন৷
হাতকড়া পরা এই মূর্তি বা প্রতিকৃতি ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে, এই কারণেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ‘আইকনিক’ নেতার হাতকড়া পরিহিত যে সমস্ত ছবি, মূর্তি, আবক্ষ মূর্তি জনসাধারণের সামনে রয়েছে, তা তুলে নেওয়া হবে এবং তার বদলে বিরসা মুন্ডার একটি অন্য ছবি দেওয়া হবে, যেখানে তাঁর হাতে কোনও বাঁধন বা হাতকড়া নেই৷ মৃত্যুর প্রায় ১১৬ বছর পর ভূমিপুত্রকে তাঁর যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিল ঝাড়খন্ড৷
রাজ্যের সংস্কৃতি বিভাগের অধিকর্তা অনিলকুমার সিং বলেন, “বিরসা আমাদের আইকন৷ তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন৷ আমাদের দেশ স্বাধীন৷ এরকম পরিস্থিতিতে কী করে আমাদের নেতার হাতে হাতকড়া শোভা পায়?” তাঁর মাথায় এই চিন্তা আসার পরই এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে৷ তারপরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়৷ রাজ্য সরকারের বক্তব্য, স্বাধীনতার জন্য যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁদের মূর্তিতে এখনও কেন শিকল পরানো থাকবে? দেশের প্রকৃত সংগ্রামীদের দেখে যুবসম্প্রদায় উদ্বুদ্ধ হন৷
অনিল দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, যুবসম্প্রদায়ের মনে কোনওরকম ভুল বার্তা যাতে না যায়, তাই এই সিদ্ধান্তের লিখিত বার্তা তাঁরা রাজ্যের সমস্ত সংগঠন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ ‘ভগওয়ান বিরসা’-র হাতকড়া মূর্তি বা ছবি সরিয়ে নিয়ে সেখানে তাঁর হাতকড়াবিহীন একটি মূর্তি বা ছবি বসানো হবে৷
বিরসা মুন্ডার নামেই ঝাড়খন্ডে অজস্র সংগঠন রয়েছে৷ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়৷ সেই সংস্থাগুলির প্রবেশদ্বারে কিংবা সংসদের সেন্ট্রাল হলেও রয়েছে তাঁর প্রতিকৃতি৷ বিরসাই একমাত্র আদিবাসী নেতা যাঁকে এই সম্মান জানানো হয়৷ লাতেহারের সার্কল অফিসার লাল্লন কুমার বলেন, এই সংগ্রামীর নতুন মূর্তি স্থাপনের খরচ সংস্থাগুলি নিজেরাই বহন করছে৷
The post হাতকড়া থেকে মুক্ত বিরসা মুন্ডা appeared first on Sangbad Pratidin.