বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: এবার দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয়কে ভোটবাক্স পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কৌশল বিজেপির (BJP)। দেশজুড়ে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক প্রচার সংগঠিত করতে সাংসদদের নির্দেশ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের। দ্রোপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেবেন আগামী সোমবার। সেইদিনই আদিবাসী এলাকায় জনমত সংগঠিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নয়া রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আদিবাসীদের আবেগ ধরে রাখতে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালিয়ে যেতে হবে, নির্দেশ পদ্মশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বিধায়কদের কাছেও একই নির্দেশ যাবে বলে জানিয়েছেন দলের এক আদিবাসী সাংসদ।
লোকসভা ভোট পর্যন্ত আদিবাসী আবেগ ধরে রাখতে সূক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। যেমন বাংলায় ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্র সরাসরি আদিবাসী অধ্যুষিত। প্রায় ১৯টি লোকসভায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আদিবাসীরা। তারমধ্যে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, আলিপুরদুয়ার আসনে ব্যাপক সংখ্যক আদিবাসী জনজাতির বসবাস। তাঁরাই প্রার্থীদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক। সহজ সরল এই অঙ্ক সহজেই অনুমেয় গেরুয়া শিবিরের কাছে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যের কমবেশি চিত্রটা একইরকম।
[আরও পড়ুন: রাজধানী দিল্লিতে স্টেশনেই গণধর্ষণের শিকার যুবতী! গ্রেপ্তার চার রেলকর্মী]
এখন সংসদের অধিবেশন চলছে। সিংহভাগ সাংসদ রাজধানীতে। দলের সাংসদের রাষ্ট্রপতির শপথের দিন সংসদে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক প্রচার সংগঠিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তার জন্য ব্লক ও মণ্ডল কমিটিকে প্রচার সংগঠিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অধিক সংখ্যক আদিবাসীকে একত্রিত করে দিনভর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান বঙ্গের এক আদিবাসী সাংসদ। তিনি নিজে দিল্লিতে থাকলেও এলাকায় ব্যাপক প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ছাড়াল দেড় লক্ষের গণ্ডি, একদিনে মৃত্যু ৬৭ জনের]
আরেক সাংসদ মালদার খগেন মুর্মু জানান, দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে আবেগ রয়েছে। দু’বছরের কম সময়ের মধ্যে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। দ্রৌপদী মুর্মুর জয়কে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।