বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: মানুষ ক্ষেপে রয়েছে। অথচ দল তার সুবিধা তুলতে পারছে না। SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য বিজেপির ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে। ঘটনাচক্রে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই মুহূর্তে দিল্লিতে। তিনিও এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) এবং নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে দেখা করেন। দু’জনকেই কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলায় বিজেপি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে কচ্ছপের গতিতে আন্দোলন করছে, সেটা চলবে না।
এদিন দুপুরে দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত। সূত্রের খবর, সুকান্তকে নাড্ডা জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) সুবিধা পেতে হলে আরও সংগঠিতভাবে আন্দোলন করতে হবে। বঙ্গ বিজেপি যে আন্দোলন করছে সেটা ছন্নছাড়া। কখনও রাজ্যস্তরে আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে তো নিচুতলায় হচ্ছে না আবার কখনও নিচুতলায় হলে জেলাস্তরে হচ্ছে না। এভাবে ছন্নছাড়া আন্দোলনে হবে না। সুগঠিতভাবে সকলকে একসঙ্গে পথে নামতে হবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ১০০ জন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’র তালিকা অমিত শাহকে দিলেন শুভেন্দু! পালটা তোপ কুণালের]
নাড্ডার বক্তব্য, এসএসসি দুর্নীতিতে বাংলার মানুষ ক্ষুব্ধ। কিন্তু বিজেপি মানুষের সেই ক্ষোভের ফায়দা তুলতে পারছে না। সেটা করলে হবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবার অন্য অস্বস্তিতে। তৃণমূলে থাকাকালীন টানা আটবছর মন্ত্রিসভা ও দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ ও মন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি। ছিলেন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষক। তারপরেই বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতি সেই সময়য়ের। তাই তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী সংস্থার। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্যপ্রমাণে বারবারই তাঁর নাম ইডি (ED) আধিকারিকদের সামনে চলে আসছে। বিষয়টি কানে গিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
[আরও পড়ুন: সংসদে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভাষণ কাকলির, পাশে বসে দু’লাখি ব্যাগ লুকোলেন মহুয়া!]
বস্তুত শাহর কাছে নালিশ করতে গিয়ে নিজেই অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শোনা যাচ্ছে, শাহ নাকি শুভেন্দুকে জানিয়ে দিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নামও উঠে আসছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শুভেন্দু ১০০ জন তৃণমূল নেতাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দেগে দিয়ে তাঁদের তালিকা দিয়ে এসেছেন। শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে গিয়ে সম্মিলিতভাবে এ নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। দুর্নীতি ইস্যুতে আন্দোলন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না বিজেপি। দলের মধ্যে কোনওরকম গোষ্ঠীকোন্দল বা উপদল তৈরির চেষ্টা তিনি বরদাস্ত করবেন না। ঘটনাচক্রে শাহর সঙ্গে দেখা করার পরই দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেছেন শুভেন্দু।