সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে নামবদলের রাজনীতি করার অভিযোগ আজকের নয়। কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিজেপি শাসিত রাজ্যেও নামবদল করতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে (BJP)। যার পিছনে রাজনীতির অভিযোগ বারবার তুলেছে বিরোধীরা। এবার গুঞ্জন, লখনউয়ের নাম বদলে করা হতে পারে লক্ষ্মণ নগরী। বুধবার উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের একটি মন্তব্য ঘিরে এই গুঞ্জন জোরালো হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? রাজ্যের ভাদোহিতে এক বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ খোলেন ব্রজেশ। বিজেপি সাংসদ সঙ্গললাল গুপ্তা তাঁর কাছে লখনউয়ের নামবদলের আরজি জানালে তিনি বলেন, লখনউকে সবাই লক্ষ্মণের নামে চেনে। তাই এই শহরের নামবদলের সময় এই বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে। আগামিদিনে লখনউয়ের (Lucknow) নাম হতে পারে লক্ষ্মণ নগরী। তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার লখনউয়ের নাম বদল করতে প্রশাসনিক স্তরে পদক্ষেপ করা হবে?
[আরও পড়ুন: লোকসভায় মহুয়ার বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ বিজেপির, ক্ষমা চাইতে নারাজ সাংসদ]
উল্লেখ্য, এর আগে বহু রাস্তা, ইমারত, জায়গা এমনকী রেল স্টেশনের নামও বদলেছে মোদি সরকার। এর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সে মোঘলসরাই স্টেশনের নাম দীনদয়াল উপাধ্যায় করাই হোক, বা এলাহাবাদের নাম প্রয়াগরাজ করাই হোক। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ভবনের মোঘল গার্ডেনের নাম বদলে করা হয়েছে অমৃত উদ্যান। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে হোশাঙ্গাবাদ স্টেশনের নাম বদলে করে দেওয়া হয়েছে নর্মদাপুরম। বলা হয়েছে এটাই এই শহরের প্রাচীন নাম।
অভিযোগ, দেশ থেকে ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে সরকার। তাই এই নামবদল করার প্রয়াস। এই পরিস্থিতিতে এবার লখনউয়ের নাম বদলালে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।