রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: দলীয় বৈঠক শেষে অসুস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিজেপির (BJP) এক যুব নেতার। তাঁর নাম রাজু সরকার। যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে। যদিও শোনা যাচ্ছে, বৈঠক চলাকালীন বচসা হয়েছিল। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজু। তার পরই তাঁর মৃত্যু হল।
জানা গিয়েছে, বৈঠকের শেষে জনৈক যুব নেতার সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও তারপর নাকি হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছিল রাজু সরকারের। তারপর উত্তেজনার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে বিজেপি নেতারা প্রথমে পিজি ও সেখান থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের তরফে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে রাজুর।
[আরও পড়ুন: ‘ওরে, তোরা আমার সৎকার করবি না?’ করোনাতঙ্কের মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছেন না ওঁরা!]
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, কোনও কারণ ছাড়াই একটি জলজ্যান্ত ছেলে মারা গেল এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে এদিন যুব মোর্চার বৈঠকের পর সাংগঠনিক কোনও বিষয় নিয়ে রাজু সরকারের সঙ্গে জনৈক যুব নেতার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্য জানেন না দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুর দাবি, “বৈঠকে কোনও কথা কাটাকাটি বা গন্ডগোলের কথা আমি শুনিনি। কার সঙ্গে ওর কী কথা হয়েছিল তা জানি না।” দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে শুনেছি। যুব মোর্চার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা চলেও গিয়েছিলেন। কয়েকজন ছিলেন। রাজু চলে গিয়েছিল। আবার সে ফিরে এসেছিল বলে শুনেছি।”
বৈঠকে রাজুর সঙ্গে কোনও গন্ডগোল হয়নি বলে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করলেও সূত্রের খবর, কলকাতা জোনের কর্মসূচি নিয়ে ওই বৈঠক শেষে তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। উত্তেজিত অবস্থায় কার্যালয় থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসেন। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে রাজু সরকার। এদিন বৈঠকের শেষেই ঘটনাটি ঘটে। তারপর বাইরে বেরিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে রাজু। রাতে সৌমিত্র-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা হাসপাতালে রয়েছেন। এই ঘটনায় সকলেই হতবাক।