সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই (CBI) নিয়ে মন্তব্য করে সম্প্রতি শীর্ষ নেতৃত্বের রোষানলে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। মঙ্গলবার ফের সিবিআই প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন তিনি। বলেন, “কার সিবিআই জানি না, পাবলিকের টাকায় চলছে। বিচার না পেলে বলব না?”
অন্যান্যদিনের মতোই মঙ্গলবার সকালেও ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেই ফের সিবিআই প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য করেন। দিলীপ ঘোষের কথায়, “আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। কম করে ১০০ কর্মীর দেহে মাল্যদান করতে হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। পুলিশের উপর ভরসা ছিল না বলেই আদালতে গিয়েছি, সিবিআই তদন্ত চেয়েছি। তারপরও বিচার না পেলে কিছু বলব না?” নাম না করলেও অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতি যে বিরক্ত এদিন দিলীপ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সিবিআই কার আমার দেখার দরকার নেই। পাবলিকের টাকায় চলে। আমি যদি বিচার না পাই আমি বলবই। কারণ, আমি কাউকে খুশি করার জন্য রাজনীতি করি না। বাংলার মানুষের জন্য করি।” কেন্দ্র রিপোর্ট তলব সত্ত্বেও ফের দিলীপের সিবিআইকে আক্রমণ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল।
[আরও পড়ুন: কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল, স্ত্রীর সামনে থেকে মৎস্যজীবীকে গভীর জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল বাঘ]
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। ওইদিন কলকাতায় এক কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানেই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, “আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হলেও এফেক্ট পড়ছিল না। গত কয়েক বছর ধরে বাংলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করা হচ্ছিল। অর্থমন্ত্রক বুঝতে পেরে ইডিকে পাঠিয়েছে।” সোমবার তিনি বলেন, ”সিবিআই দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। ভোটের পর আমাদের ৬০ জন কর্মী মারা গিয়েছেন। কোর্ট বলেছিল সিবিআইকে, তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু সিবিআই তো এফআইআর-ই (FIR)দায়ের করতে পারল না। সিবিআই কার, তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সিবিআই, ইডি দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ইডি অনেক ভাল কাজ করেছে। প্রমাণ করে দিয়েছে, তারাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এজেন্সি।”
লাগাতার দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগেও দিলীপ ঘোষের বেলাগাম একাধিক মন্তব্যের জন্য তাঁকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছিল। ফের সিবিআইয়ের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে শীর্ষ নেতাদের বিরাগভাজন হলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।