রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি (BJP)। সোমবার চারু মার্কেট থানার সামনে বিজেপির মিছিলে ‘হামলা’র ঘটনায় জগদীপ ধনকড়ের কাছে নালিশ করলেন তাঁরা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফের বাংলার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়ে জোরদার সওয়াল করেন মুকুল রায়। এদিকে, একই অভিযোগে বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা।
ঠিক কী ঘটেছিল সোমবার? ওইদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে বিজেপির রোড শো শুরু হয়। বিশাল লরির ট্যাবলোতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। শুরু থেকেই বিরোধিতার মুখে পড়ে মিছিল। প্রথমে চারু মার্কেট থানার সামনে মিছিল পৌঁছলে পাশের গলির মধ্যে জমায়েত থেকে বিজেপি বিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তাদের দিকে তেড়ে যায় বিজেপি কর্মীরা। কিছু বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। ‘হামলা’র প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে রাজভবনে যান মুকুল রায় (Mukul Roy)। দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের। রাজভবন থেকে বেরনোর পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুর চড়ান মুকুল। তিনি বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। জেপি নাড্ডা, দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির নেতামন্ত্রীদের উপর হামলা হচ্ছে। ৩৫৬ ধারা জারি ছাড়া উপায় নেই। আজ খেজুরিতে কী হয়েছে তাও শুনেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে সব বলেছি।”
[আরও পড়ুন: অর্শ নিরাময়ের নামে মলদ্বার বন্ধ করল হাতুড়ে! শাপমুক্ত করল এনআরএস]
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার হুটমোড়ায় সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সেই সভায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা মৃদু বিক্ষোভ দেখান। বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে ওই বিক্ষোভের জেরে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি পরিকল্পনামাফিক অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। এই অভিযোগের পালটা জবাব দেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “সরকার তাদের। প্রশাসন তাদের। গ্রেপ্তার করুক। বিজেপি এ কাজ করে না।” বিধানসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবারই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কথা। তার আগে বিজেপির অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।