সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সময় যত গড়াচ্ছে ততই যেন চড়ছে উত্তেজনার পারদ। হাওড়া, কলকাতায় চূড়ান্ত অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার ফলে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন প্রান্ত। আর আঁটসাঁট পুলিশি নিরাপত্তাতেই ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। ফের পুলিশকে তোপ দাগলেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)।
পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই হাওড়া এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। জলকামানও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় পড়ে থাকা ইট, পাথর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যামেরারও। কোথাও কোনও অশান্তি হচ্ছে কিনা, তা কন্ট্রোল রুমে বসেই নজরদারি রাখা যাবে। তার ফলে সরাসরি উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তাতেই খুব সহজেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, ইতিমধ্যেই পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে শুরু করেছে। ডানলপে বিজেপি কর্মীদের বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে এদিন পুলিশকে একহাত নেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, “পুলিশ উর্দি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভৃত্যের কাজ করুক। সেটাই ভাল হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়’, বিজেপির অভিযানের দিনই নবান্ন বন্ধ নিয়ে কটাক্ষ তেজস্বী সূর্যের]
সকাল ১১টায় চার জায়গা থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হবে নবান্নের (Nabanna) দিকে। বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে একটি মিছিল হবে। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল হবে হেস্টিংসে ফ্লাইওভারের নিচ থেকে। যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য নেতৃত্ব দেবেন হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলটির। আর রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু-সহ অন্যরা সাঁতরাগাছি থেকে মিছিলটির নেতৃত্ব দেবেন। সব মিছিলের অভিমুখ হবে নবান্নের দিকে, এমনটাই বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। এখনও মিছিলের জন্য মেলেনি পুলিশের অনুমতি। যদিও তা নিয়ে ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করতে পারেন। অথচ বিজেপি কেন নবান্ন অভিযানে অনুমতি পাবে না, সেই প্রশ্ন তোলেন সৌমিত্র খাঁ। যদিও পালটা নবান্নের তরফে চিঠিও পাঠানো হয় গেরুয়া শিবির। তাতে সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং অতিমারীকেই কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।