সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছে রাজ্যে। ভোট নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় রাখতে নবান্নে সেল খোলা হয়েছে। সেই সেল বাতিল করার দাবি তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসকরাই দলের কর্মী হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের দিয়ে নির্বাচন করানো যাবে না বলেও জানিয়েছেন সদ্য দলত্যাগী বিজেপি নেতা।
শনিবারের ডানকুনির সভা থেকে নিজের পুরনো দল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। আটদফায় বিধানসভা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে শাসকদল তৃণমূল। তাঁদের দাবি নস্যাৎ করে বিজেপি নেতার পালটা দাবি, কমিশন একদম সঠিক কাজ করেছে। এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল সরকার অন্যের ভোট লুঠ করে। করোনার চেয়ে বিপজ্জনক তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড।” এ রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করাতেই নির্বাচন কমিশন আটদফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সাফাই শুভেন্দুর।
[আরও পড়ুন : ‘আমার শিরদাঁড়া বিক্রি হবে না’, শুভেন্দুর গড় থেকে হুঙ্কার অভিষেকের]
নবান্নের নির্বাচনী সেলেরও বিরোধিতা করেছেন শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে এই সেল বাতিল করতে হবে। কারণ রাজ্যের প্রশাসনের সম্পূর্ণ দলীয়করণ হয়ে গিয়েছে। নবান্ন থেকে গোটা রাজ্যের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলবে।” এদিনের সভামঞ্চ থেকে প্রাক্তন তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “এ রাজ্যের আমলাদের একাংশকে দলদাসে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সমস্ত প্রশাসকরা মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।” তাই অবিলম্বে নবান্নের ওই সমন্বয় সেল বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দলও নির্বাচন কমিশনে একই অভিযোগ জানিয়েছেন।
এদিনের সভামঞ্চ থেকে আরও একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “বিরোধী নেতারা কে কোথায় কী কথা বলছেন তাতে আড়ি পাতছে সিআইডি, রাজ্যস্তরের আইবি। ফলে বিরোধীদের কথা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী বারবার কেন্দ্রে বিরুদ্ধে বিরোধীদের ফোন ট্যাপ কিংবা আড়িপাতার অভিযোগ এনেছেন। এবার পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ আনলেন মমতার পুরনো সঙ্গী শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন : ‘মেয়েরা অন্যের ধন…’ মমতাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তুমুল বিতর্কে বাবুল সুপ্রিয়]
দেখুন ভিডিও: